শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৫, ০২:১৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

নির্বাচন নিয়ে  আমরা মতামত ব্যক্ত করতে পারি, সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না : ডা. শফিকুর রহমান

মনিরুল ইসলাম: প্রধান উপদেষ্টার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে ফেব্রুয়ারী বা এপ্রিল মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো। মে - জুন মাসে আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে না। এই সময় নির্বাচনের উপযোগী নয়। ওই সময়ে নির্বাচনও হয় না। এভাবেই নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বললেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ।

মঙ্গলবার সকালে  রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তা হলো ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যে পরিষ্কার করেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়; সে অবস্থায় এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।

তিনি  বলেন, আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি; তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার রাখি না। আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দেই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি, দাবি জানাতে পারি।

তিনি মিট দ্য প্রেসের শুরুতে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে তিনি আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় শোকরিয়া আদায় করেন। তিনি তার দীর্ঘ বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরেন। কি ভাবে অন্যায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক বাতিল করা হয় তা জানান।

তিনি বলেন, ফ্যাসিজম নিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে। তাই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার। লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড দরকার। যাতে দেশের মানুষ নির্ভয়ে তাদের রায় প্রদান করতে পারেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন  এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই। তাই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই ইসির সক্ষমতা প্রকাশ পাবে বলে আমরা মনে করি। 

দলের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তাদের নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা- ভাবনা করছি।

তিনি ইসিকে অবিলম্বে প্রবাসীদেরকে ভোটের আওয়াতায় আনার দাবি জানান। তাদেরকে ভোটের বাইরে রেখে নির্বাচন সঠিক হবে না। তাদেরকে আমরা বলবো রেমিট্যান্স যোদ্ধা আর তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রাখব তা হলে কি তা সঠিক হবে।

এ সময় দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়