জুবাইদা আহমেদ: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দেশে অপরিণত এবং স্বল্প ওজনের নবজাতকের ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ আরওপি রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
[৩] রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি’ শীর্ষক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনারে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
[৪] অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আরওপি বিষয়টি অনেকের কাছে নতুন। নবজাতকদের অক্সিজেন বেশি দিলে এটি হয়। আজকাল কিছু সিজারিয়ান সেকশন সময়ের আগে করা হয়। টেস্টটিউব বেবির সময় মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য আরলি সিজারিয়ান সেকশন করা হয়। এসব নবজাতকদের মধ্যে অনেক শিশুর আরওপি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
[৫] তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরওপি সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৫৯৬ জন রোগী এসেছে। যার মধ্যে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ রোগীর আরওপি রোগ পাওয়া গেছে। আগে দেশে ৩০ হাজার শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো। কিন্তু সরকারের উদ্যোগে এটি কমে ১০ হাজারে নেমে এসেছে। আরওপি এবং অন্যান্য চোখের সমস্যার কারণে ৪০ হাজার শিশু অন্ধত্ব বরণ করছে।
[৫] ওই সেমিনারে আরো জানানো হয়, অপরিণত নবজাতকদের চোখে অন্ধত্ব বয়ে আনতে পারে রেটিনোপ্যাথী অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি)। ৩৫ সপ্তাহের আগেই জন্মগ্রহণ এবং ওজন ২ কেজির নিচে থাকলে এই ঝুঁকি থাকে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব