মাজহারুল মিচেল: [২] ডেঙ্গুতে গত কয়েকদিন যাবৎ মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে। এ পরিসংখ্যানে বিশেষজ্ঞরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও আক্রান্তের কারনে দুশ্চিন্তা এখোনও যায়নি। তাদের মতে, ডেঙ্গু এ বছর যেভাবে বেড়েছে তাতে খুব সহজেই চলে যাবে না।
[৩] কীটতত্ত্ববিদ সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন জানান, মানুষের মঝে এখন ডেঙ্গুকে করোনার মতই নিতে হবে। করোনার মত এটিকেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় আনতে হবে। সুতরাং, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সকল সচেতনতাকে প্রতিনিয়ত অভ্যাসে পরিণত করার আহ্বান জানান।
[৪] তিনি জানান, ডেঙ্গু মোকবেলায় সরকার নির্ধারিত যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে পালন করলে ডেঙ্গুর আক্রান্তের হার শূন্যতে আনা সম্ভব।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাতে ৯৪ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ২৬৮জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৩৩২ ডেঙ্গুরোগী।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯৫৪ জন এবং সারা দেশে (ঢাকা সিটি ব্যতীত) ৬৯৮ জন মারা যান। চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৭৩ জন।
[৭] এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৯ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার এক শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ