মাজহারুল মিচেল: [২] এ মাসের মাঝামাঝি থেকেই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে বেশি কমতে দেখা যায়।
[৩] বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন ডেঙ্গুর ভাইরাস বহনকারি মশা এডিসের সংখ্যা কমছে। যার ফলে প্রতি শতকরা হরে আক্রান্তের সংখ্যা কমায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে বলে জানান।
[৪] ভাইরোলজিস্ট সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার মামুন জানান, যখন একটি ভাইরাসের কারণে প্রচুর আক্রান্ত হয় তখন মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। আবার ভাইরাসের ক্ষমতাও বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। এখন সেটা কমতে শুরু করেছে।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২০১ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৫৮ জন। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মধ্যে একজন ঢাকায় ও তিনজন ঢাকার বাইরে। আর সারা দেশে ৮৮১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২১১ জন ও ঢাকার বাইরে ৬৭০ জন।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৬১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৪৬ জন।
[৭] এতে বলা হয়, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৮ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার এক শতাংশ। মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/একে