জেরিন আহমেদ: [২] এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার রুখে দিন- এই শ্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারীদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান। অচিরেই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআইতে এইচপিভি টিকা প্রদান রুটিন টিকাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, এতে দেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের বেশি কিশোরী বিনামূল্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষায় এইচপিভি টিকা পাবে। সূত্র: চ্যানেল আই
[৩] সোমবার (২ অক্টোবর) থেকে সীমিত পরিসরে ঢাকায় এইচপিভি টিকাদান শুরু হয়। আজিমপুর গার্লসের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হলো। প্রথম টিকা নেয়া ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুলের সাতজন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন, ডিপিএস স্কুলের ২ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সরকারি স্কুলের একজন।
[৪] আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিভাগের সকল জেলায় পুরোদমে শুরু হবে এইচপিভি টিকা প্রদানের এই কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় শুরু হয়ে আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে দেশের আটটি বিভাগের কিশোরীরা এই টিকার আওতায় আসবে। ‘গ্লোবাল এল্যায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন-গাভীর সহায়তায় এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিভাগের ২০ লাখ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।
[৫] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকা গ্রহণে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করতে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, এদেশে নারীদের ক্যান্সারের সুরক্ষার এইচপিভি টিকা প্রদান একটি যুগান্তকারী ঘটনা। যা নারী স্বাস্থ্যের সুরক্ষার পাশাপাশি নারীদের নিরোগভাবে ঘরে বাইরে কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে।
[৬] এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন করতে ইপিআইর পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ করা হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
জেএ/এসবি/জেএ