মাজহারুল মিচেল: [২] ডেঙ্গুতে কয়েলই যে একমাত্র ভরসা তা নয়, তবুও মশা তাড়াতে বাসায় কয়েল ব্যবহার করে সবাই। সেই কয়েলও যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বেড়েই চলেছে দিন দিন।
[৩] খুচরা দোকানদার ও ব্যবসায়ীরাও বলছেন, গত বছরের তুলনায় প্রতি বক্স কয়েলের দাম ২০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যে কয়েলের কাটতি বেশি, সেটির দামও বাড়ছে বেশি।
[৪] রাজধানীর পল্লবীর খাদিজা আক্তার বলেন, এলাকার গত বছরও যে কয়েলের প্যাকেট কিনেছিলাম ৬০-৭০ টাকায় সেটা এখন ১০৫-১১৫ টাকা হয়ে গেছে। একে তো ডেঙ্গুর আতঙ্ক, তার মধ্যে কয়েলের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলেছে।
[৫] ভাটারা এলাকার মাসুদ মিঞা বলেন, বাজারের অনেক কয়েল ব্যবহার করেছি, ২৫ টাকার কয়েল হয়ে গেছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ৫০ টাকারটা ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। কয়েলের কার্যকারিতা না বাড়লেও দাম কিন্তু বাড়ছেই। ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণে আমাদের ঘরে দরকার কার্যকরী কয়েল, কিন্তু পাচ্ছি না।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (চব্বিশ ঘন্টায়) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৭৪ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৮৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৭] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না