আনিস তপন: ডেঙ্গু রোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত বছরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য সকলের বাসা-বাড়ি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সম্মত জীবনাচার পালন করতে হবে।
তিনি জানান, কোভ্যাকস ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে ৩০ লাখ ডোজ ভিসিভি (ভ্যারিয়েন্ট কন্টেয়নিং ভ্যাকসিন) পাওয়া গেছে। সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফাইজার-ভিসিভি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ভ্যাকসিন দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য চলতি সপ্তাহ থেকেই দেশের সব সিটি কর্পোরেশন, জেলা/উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে স্থায়ী কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে দেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, চলমান কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও সফলভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে। গোটা বিশ্বে যত ভ্যাকসিন পেয়েছে তার ১১ ভাগ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পেয়েছে। সেই ভ্যাকসিন থেকে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৮ দশমিক ৫১ ভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ, ৮২ দশমিক ১৮ ভাগ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ, ৩৯ দশমিক ৬২ ভাগ মানুষকে তৃতীয় ডোজ এবং এক দশমিক ৮৫ ভাগ মানুষকে চতুর্থ ডোজ টিকা ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে।
এই ভিসিভি ভ্যাকসিন ব্যবহারে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এটি ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থার ইতিবাচক মতামত রয়েছে।
উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তিনি জানান, তৃতীয় ডোজ পাবে ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, চতর্থ ডোজ পাবে ৬০ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘ মেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাগণ। তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রাপ্তির ৪ মাস পর, চতুর্থ ডোজ পাবেন তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস পর। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এটি/এসবি২