শাহীন খন্দকার: ১ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস। রোগটি সম্পর্কে মানুষকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য এ দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর বিশ্বে ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস উদযাপন করা হয়, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অসমতা দূর করি, এইডস মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এইডস-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায় ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে।
ম্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস এন্ড এসটিডি কন্ট্রোল পরিচালক ডা. শাহ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় রাজধানীতে এ উপলক্ষ্যে র্যালিসহ ওসমানী মেমোরিয়াল হলের সামনে এইচআইভির ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করবেন স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে।
এইচআইভি পরিস্থিতি সর্ম্পকে পরিচালক বলেন, ইউএনএইসের তথ্য মতে, ২০২১ পর্যন্ত প্রায়ই ৩৯ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে অনুমিত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,০০০ এর মতো। ২০২১ অবধি ৮০৩২ জনকে শনাক্ত করা গেছে। শনাক্তকৃতদের ৭৬ শতাংশ রোগী।
বাংলাদেশ এইচআইভি'র জন্য একটি অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমনের দেশ, কিন্তু সংক্রমনের সবগুলো উপাদান বিদ্যমান। যেমন, ভৌগলিক অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রতিটি দেশে (ভারত, মায়ানমার) এ সংক্রমণ অনেক বেশি। যেমন ভারত, মায়ানমার। আমাদের দেশের সঙ্গে এই দুটি দেশের অবাধ যাতায়াত রয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি কেস সনাক্ত হলেও তার আগেই সতর্কতা হিসাবে ১৯৮৫ সালে জাতীয় এইডস কমিটি গঠন করা হয়। দেশে ১৯৯৫ সালের দিকে প্রথম এইচআইভি নিয়ে প্রোগ্রাম শুরু হয়। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৩ জেলায় মূলত এইচআইভি সনাক্ত, চিকিৎসা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
৪র্থ অপারেশনাল প্ল্যান ও দ্যা গ্লোবাল ফান্ডে সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী ও পুরুষ যৌনকর্মী, শিরায় মাদকগ্রহণকারী ও হিজড়াদের জন্য এইচআইভি প্রতিরোধ সেবা দেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
এসকে/এমআই/এএ