শিরোনাম
◈ আজও বিদ্যুৎবিহীন জীবন: নিম্নমানের সোলারে বিপাকে কুড়িগ্রামের দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ ◈ জুলাই-আগস্ট হত্যায় রাজসাক্ষী হলে মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমার ইঙ্গিত ◈ যেখানেই মব জাস্টিস সেখানেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে: রিজওয়ানা হাসান ◈ চাঁদাবাজির তথ্য মেলেনি, ভাঙারি দোকান দখল নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: বলছে ডিএমপি ◈ মার্কিন শুল্ক হুমকির মুখে বাংলাদেশে কিছু পোশাক অর্ডার স্থগিত করেছে ওয়ালমার্ট ◈ চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরা করা স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার ◈ টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বিশ্বকা‌পে কীভা‌বে আস‌লো ফুটব‌লের দেশ ইতালি  ◈ রা‌তে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনা‌লে পিএস‌জি ও চেল‌সি মু‌খ্মেু‌খি ◈ মিটফোর্ড পাথরকান্ড: ওই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত কোথায়?: রিজভী  ◈ ছাত্রদলে একযোগে পদত্যাগের হিড়িক!

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৪৭ রাত
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাপে কামড়ালে কি করা উচিত আর যে ভুল করা উচিত নয়!

বৃষ্টির মৌসুমে ভারি বর্ষণের ফলে বন্যা দেখা দেয়।আর বন্যা মানে নানা ধরণের কীট-পতঙ্গের পাশাপাশি শুরু হয় সাপের উপদ্রব।এই চিত্র কেবল গ্রামের নয়, শহরাঞ্চলেরও।এছাড়া যারা বর্ষার সময় বনে বা পাহাড়ে ঘুরতে যান তাদেরও প্রায় সময় সাপের কবলে পড়তে হয়।এছাড়া বিগত বছরগুলোতে দেশ জুড়ে সাপে কাটার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো- সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।তাই সাপে কামড়ালে করণীয় কি এবং কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।

সাপে কামড়ালে কি করা উচিত

সাপে কাটা ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।হাসপাতালে যাওয়ার পথে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণরক্ষার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু কাজ করা উচিত।বিশেষ করে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার:

•    সাপে কাটা ব্যক্তি প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।অনেক ক্ষেত্রে মানসিক অবস্থা প্রাণঘাতী হতে পারে।তাই আক্রান্ত ব্যক্তির ভয় দূর করতে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে। তাকে আশ্বস্ত করতে হবে নির্বিষ সাপের দংশনে মৃত্যু হয় না। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ সাপের বিষ নেই।বিষধর সাপের সংখ্যার পরিমাণ দেশে খুব কম।এছাড়া অধিকাংশ সময় সাপগুলো শরীরে পর্যাপ্ত বিষ ঢুকিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।

•    সাপে কামড়ানো ব্যক্তির অঙ্গকে অবশ্যই স্থির করে রাখতে হবে।খুব বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। হাঁটাচলা বা অধিক ঝাঁকুনির সম্মুখীন না করে স্থিরভাবে আধশোয়া অবস্থায় রাখা উত্তম।

•    ক্ষতস্থানে একটু চাপ প্রয়োগ করে ব্যান্ডেজ বেধে দিতে হবে।এই প্রাথমিক চিকিৎসাটি প্রেসার ইমোবিলাইজেশন নামে পরিচিত।ব্যান্ডেজের বদলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কাপড়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।

•    রোগী শ্বাস না নিলে তার মুখে শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

•    আক্রান্ত স্থানে জীবাণুমুক্ত করার জন্য সাবান দিয়ে ধুয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকাভাবে মুছে নিতে হবে।

•    সাপে কামড়ানো ব্যক্তির অলঙ্কার বা ঘড়ি কিংবা তাগা, তাবিজ থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। নতুবা এগুলো রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা চিকিৎসা প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।

সাপে কাটলে যে ভুল করা উচিত নয়

•    সাপে কাটা ব্যক্তিকে ওঝার কাছে নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা ঠিক নয়।

•    আক্রান্ত অঙ্গে কোনো ধরণের ভেষজ ওষুধ, উদ্ভিদের বীজ, লালা, গোবর, কাদা, বা পাথর লাগানো যাবে না।

•    অনেকে মনে করেন, আক্রান্ত স্থানে মুখ দিয়ে টেনে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সাপের বিষ আসলে লসিকা ও রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়, যা এই পদ্ধতিতে বের করা অসম্ভব। এছাড়া আক্রান্ত স্থানে যিনি মুখ দিচ্ছেন, তার জন্যও বিষয়টি ক্ষতিকর।

•    কামড়ানোর স্থানে অনেকে শক্ত বাঁধন বা গিট দিয়ে বাঁধেন। কিন্তু এমনটি একদমই উচিত নয়। বিষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে কামড়ানোর স্থান থেকে কিছুটা ওপরের দিকে শক্ত করে বাঁধা হয়। মূলত এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে উলটো রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে সঠিক রক্ত প্রবাহের অভাবে টিস্যুতে পচন বা নেক্রোসিসের উপক্রম হতে পারে।

•    দংশনের স্থানে ছুরি বা ব্লেড দিয়ে আঁচড় দেওয়া যাবে না। বিষ বের করার জন্য অনেকে এমনটি করেন। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

•    ব্যথা দূর করতে মোটেই অ্যাস্পিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

•    কোনো ধরণের রাসায়নিক পদার্থ লাগানো বা তা দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দেওয়া ঠিক নয়।

•    অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার বা ঢোক গিলতে কিংবা কথা বলতে সমস্যা হয়। পাশাপাশি নাসিক কণ্ঠস্বর, বমি বা অতিরিক্ত লালা নিঃসরণের মত ঘটনা ঘটে। এগুলোর প্রতিকার হিসেবে তাকে কিছু খাইয়ে বমি করানোর চেষ্টা করা হয়। এই কাজটি একদমই অনুচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়