শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০৫:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২৩ সর্বমোট আক্রান্ত ১৮২৩ জন

শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীসহ সারাদেশে বৈশাখী বৃষ্টি মশার প্রজননক্ষেত্র বাড়িয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খারাপ করে তুলতে পারে বলে শর্তক করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকগণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জৈষ্ঠ্য থেকেই ঝর-বৃষ্টি শুরু হবে, তাই ডেঙ্গু বিস্তাররোধে এখনই কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা। 

[৩] মার্চ মাসে রাজধানীসহ সারাদেশে ৫ দিনবেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া এপ্রিলেও বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে এবং আজকেও ঢাকা সিলেটসহ চট্টগ্রামে বৃস্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার মুঠো ফোনে জানিয়েছেন, মৌসুমের প্রথম দিকের এই বৃষ্টি অবশ্যই ডেঙ্গুর বিস্তার ঘাঁবে। তাই দ্রুত এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা নিতে হবে ।

[৪] তবে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থান গুলো আগে চিহ্নিত কওে ধ্বংস করতে হবে স্থানীয় সরকার সংস্থা ও দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন এই কীটতত্ত্ববিদ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (১৩ এপ্রিল) শনিবার সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ১৪ জন আর মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ আর ৭ জন নারী। সেই সঙ্গে এপ্রিলের ১৩ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৩ জন।

[৫] এদিকে জানুয়ারীতে আক্রান্ত ১ হাজার ৫৫ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ফেরুয়ারীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ৩৩৯ জন মৃত্যু ৩ জনের। মার্চে ৩১১ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের, এপ্রিলে ১১৮ জন আক্রান্ত মারা গেছেন ১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে আরও জানা গেছে চলতি বছর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৩ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি-বেসরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, ১ হাজার ৭৩১ জন বর্তমানে সারাদেশে ভর্তি আছে ৬৯ জন। 

[৬] সাবেক ইমেরিটাস অধ্যাপক, একুশে পদকপ্রাপ্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, সংক্রমিত রোগীদের মশারী ব্যাবহার করা উচিত যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে না যায়। তিনি বলেন, বর্ষায় ক্লাস্টারগুলো শনাক্ত করা এবং ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু মশার বিস্তাররোধে জনসচেতনতামুলক প্রচারনাও জরুরী।

[৭] কারণ ডেঙ্গু রোগটি এক সময় মৌসুমী রোগ ছিলো। এখন কম বেশী সারা বছরই হচ্ছে। তবে এপ্রিল মে ও জুন মাসে বেশী হয় এর সঙ্গে বৃষ্টিপাতেরও একটি সর্ম্পক রয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছিলো এবং চলতি বছরও জানুয়ারী থেকেই কম বেশী পাওয়া যাচ্ছে। তবে সামনে ঝুঁকিটা বেশী কারণ মে ও জুনে বৃষ্টিপাত বেশী হয়।

[৮] ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন,এখন শুধু ঢাকাকেন্দ্রীক নেই এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে গেছে। তাই ডেঙ্গুরোগ রোধ করতে হলে এডিসমশা আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও জরুরি।

[৯] গৃহপালিত ডমেস্ট্রিক মশা এই মশা ঘরে জমা পানি থেকে জন্মে,তাই বাথটব ফুলের টবসহ টয়লেটের কমোট এর পানিতে কেন অবস্থাতে যেনো এই ডমেস্ট্রিক মশা জন্ম না নিতে পাওে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গৃহপালিত মশা যেনো জন্ম না নিতে পাওে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

[১০] ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার (এডিস মশাবাহিত রোগ) সেরোটাইপগুলো শনাক্ত করার জন্য কোনো নজরদারিও নেই। এই যে সেরোটাইপ মশা মারার জন্য আমাদের মানসম্পন্ন কীটনাশক কিনতে হবে। আমাদের ভালো চিকিৎসাও দরকার।

[১১] তিনি বলেন, আমাদেশে এখন ডেঙ্গু সম্পর্কে ডাক্তাররা অভিজ্ঞ। আমরা আগে প্রতিরোধ করি। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের বাড়ির জায়গাটা পরিষ্কার করি। তাহলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে সবাই রক্ষা পাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়