শিরোনাম
◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক ◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জানা গেল ৩ শিশুর প্রাণহানির কারণ: অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহার করা হ্যালোথেন ভেজাল ছিলো

শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ল্যাব টেস্টে এ প্রমাণ মিলেছে। 

[৩] ভেজালের শঙ্কায় ৯ মাস আগেই হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লোরেন ব্যবহারের অনুরোধ করেছিল অ্যানেস্থেসিয়া সোসাইটি। যা মানেননি কোনো চিকিৎসক। উদাসীন ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও।

[৪] সুন্নতে খতনায় অ্যানেস্থেসিয়া দিতে গিয়ে দেশে একের পর এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যাতে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন, স্বজন ও পরিবার। গত বছর ৯ ডিসেম্বর আর চলতি বছর  ১০ জানুয়ারি এবং ৩০ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ’র ‘ককলিয়ার ইমপ্লান্টে’ অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পর প্রতিবন্ধী ৩ শিশুর মৃত্যুকে ভাবিয়ে তোলে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ‘হ্যালোথেন’ পরীক্ষা করতে ল্যাবরেটরিতে পাঠায় তারা।

[৫] ল্যাবরেটরির টেস্টের রিপোর্টে মেলে হ্যালোথেনে ভেজালের তথ্য। বলা হয়, হ্যালোথেনে মেশানো পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এর গঠন নষ্ট হয়েছে। এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছর ১৫ জুন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি লিখে ‘হ্যালোথেন’ বিক্রি বন্ধের কথা জানিয়েছে, একমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান-এসিআই। অর্থাৎ ৯ মাস ধরে দেশে বৈধভাবে আসছে না হ্যালোথেন।

[৬] এসিআই লিমিটেডের ডিরেক্টর মার্কেটিং অপারেশন মো. মোহসীন বলেন, মার্কেটে আমাদের যেটা আছে, এটাই শেষ। এরপর আর বাজারে এগুলো ছাড়ব না। আমাদের জানা মতে বাজারে কোনো অথেনটিক প্রোডাক্ট নাই।   

[৭] এদিকে এসিআইয়ের ওই চিঠির পর, গত বছরের জুলাইতে ঔষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া হ্যালোথেন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেয়, অ্যানেস্থেসিয়া সোসাইটি। হ্যালোথেনের বিকল্প হিসেবে আইসোফ্লোরেন ব্যবহারের পরামর্শ দেন তারা।

[৮] বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড পেইন-এর মহাসচিব অধ্যাপক ড. কাওসার সরদার বলেন, হ্যালোথেনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এত সব নির্দেশনার পরেও, কেন হ্যালোথেনের ব্যবহার বন্ধ হয়নি, তার দায় নিতে চাইলেন না চিকিৎসকরা।

[৯] বিএসএমএমইউয়ের অ্যানেস্থেয়োলজিস্ট অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, বিএসএমএমইউ আমরা এক বছর হলো আইসোফ্লোরেন ব্যবহার করি। তবে রোগীরা অনেক সময় হ্যালোথেন কিনে আনে, তখন ব্যবহার হয়।

[১০] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক-কান-গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক বলেন, রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনও কোনও ওষুধ দিতে হবে  ওনারা ভালো জানেন। গত এক বছর ওনারা ওষুধ সাপ্লাই দিয়েছে, তবে তাদের হয়তো জনবল নাই, এজন্য সমস্যা হচ্ছে। এতা মৃত্যুর পর অতঃপর ঘুম ভেঙেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। গত ২৭ মার্চ ভেজাল ‘হ্যালোথেন’ ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয় তারা। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়