মাহাবুব আলম বাবু : পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের কৃষিতেও আমূল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন থেকে এ জেলার উৎপাদিত আলুসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সহজেই চলে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। আবার সহজেই দক্ষিণাঞ্চল থেকে সবজি, আমড়া, ডাব- নারিকেল, মসলাসহ নানা কৃষিপণ্য আসছে মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলার বাজার গুলোতে। এতে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। যখন চাহিদার পাশাপাশি লাভ বাড়বে তখন কৃষক পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: খুরশীদ আলম বলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন।এ পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়,কৃষিতেও আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।মুন্সীগঞ্জে প্রতিবছর গড়ে ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়।এ ছাড়া আড়িয়াল বিলসহ জেলার নদী বেষ্টিত সব উপজেলায় ধান,পাটসহ নানা ফসল চাষ হয়।প্রচুর মাছ আছে এ জেলায়।পদ্মা সেতু দিয়ে এ গুলো এখন সহজেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে। তৈরী হবে নতুন বাজার।
অপরদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের টমোটো,কাঁচা মরিচ,শসা,করলা, বেগুন,রসুন, পেঁয়াজ,ফুল,মসলা জাতীয় ফসল ও সবজি উৎপাদন হয়। যা পদ্মা সেতু দিয়ে মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার বাজার গুলোতে বিক্রি করে বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ঢাকার বাজার কাছে হওয়ায় জাজিরার ফুল চাষ সম্ভাবনাময় মনে করা হচ্ছে।এছাড়া বড় ধরণের বিনোয়োগ করবেন পরিবহণ খাতের ব্যবসায়ীরাও। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সময় কমায় পুরো দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে দেশের জিডিপি বাড়বে এক দশমিক দুই শতাংশ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ সংকট কেটে গেছে। ইতিমধ্যে সেতুর দুই প্রান্তে ছুঁটে আসছেন পাইকাররা। কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাবেন।তাই কৃষিতে বিনিয়োগও বাড়াবেন তারা।
