জিয়াবুল হক, টেকনাফ: [২] দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেওয়ারিশ কুকুর। এমন অভিযোগ দ্বীপের বাসিন্দা ও দ্বীপে দেশি-বিদেশি ভ্রমণকারী পর্যটকদের। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ দ্বীপে আসা পর্যটক ও দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপে চার হাজারের বেশি কুকুর রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের দাবি।
[৩] দ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ী আবদুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপটিতে স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছে আট হাজারের মতো। তার পাশাপাশি দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায় নিয়োজিত লোকজনসহ বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। অপরদিকে দ্বীপটিতে চার হাজারের অধিক কুকুরের আনাগোনায় পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এ কুকুরের উপদ্রবের কারণে বর্তমানে দ্বীপবাসীকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
[৪] জানা যায়, পরিবেশসম্মত কারণে দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে কুকুরের প্রজনন সবচেয়ে বেশি। একটি মা কুকুর পাঁচ-ছয়টি বাচ্চা প্রসব করে। কুকুর নিধন নিষেধাজ্ঞার কারণে দু’তিন বছর ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বংশবিস্তার হচ্ছে উদ্বেগজনক ভাবে।
[৫] এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, পর্যটন মৌসুমে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমাটিনে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যায়। দ্বীপের সমুদ্র সৈকত এলাকায় বিচরণ করে কুকুরগুলো। আবার বাজার ও জেটি ঘাটের পাশের এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায়ও এই কুকুরের উপদ্রব লক্ষণীয়।
[৬] স্থানীয়দের দাবি, বিগত ৪-৫ বছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এ কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় বেওয়ারিশ এসব কুকুর নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :