মনিরুজ্জামান, বোরহানউদ্দিন(ভোলা): বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ১১ চৈত্র। ২ রমজান। চৈত্র মাস মানে কাঠফাটা রোদ। গরমে অস্থির হওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু এবার ঘটছে উল্টোটা। হঠাৎ রুক্ষ হয়ে উঠছে ভোলার বোরহানউদ্দিনের প্রকৃতি। এ সময় কেউ কোনো দিন কুয়াশা না দেখলেও ব্যাতিক্রমী সেই চিত্র সবাই দেখেছে আজ। শনিবার (২৫ মার্চ) ভোর কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল এখানকার প্রকৃতি।
পৌর ২ নং ওয়ার্ডের বাইতুল আমান মসজিদের মুয়াজ্জিম আব্দুল মমিন, মুসল্লি কামরুল বলেন, বোরহানউদ্দিনে আজ সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে। কিন্তু কুয়াশার প্রলেপে সেই সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশায় আবারও ঢেকে যায় সবুজ প্রকৃতি। ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
গৃহবধূ নাছিমা,খালেদা বলেন,গত কয়েক দিন ধরে দিনে কড়া রোদ থাকলেও রাতে কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ফ্যান বন্ধ করে তো রাখতে হচ্ছেই, সঙ্গে কাঁথা-কম্বলও গায়ে জড়াতে হচ্ছে। উপসহকারি মেডিকেল অফিসার আবুল কালাম বলেন, এই অসময়ের শীতে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
বোরহানউদ্দিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রনি বলেন,কয়েক দিন থেকে অব্যাহত ভাবে তাপমাত্রা বাড়ার পর বৃষ্টি ঝরেছে ৩-৪ দিন আগে। এরপরই হঠাৎ প্রকৃতির এমন আকস্মিক পরিবর্তন। দেখে তাই সবাই হচকচিত! সচারাচর এমনটি হওয়ার কথা নয়।
ভ্রাত ভ্রমণকারি দুলাল চন্দ্র দে, গোপাল চন্দ্র দে, বলেন, তীব্র তাপদাহের পর ভোরের এমন স্নিগ্ধ কুয়াশায় মন ভুলেছে অনেকের। এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকেই তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিয়ে প্রাতভ্রমণ সেরেছেন। মন খুলে হেঁটেছেন। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সকলের মন জুড়িয়ে দিচ্ছে গরম অস্বস্তিতে থাকা মানুষগুলোকে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এইচএম শামীম বলেন,দিনে গরম রাতে এমন কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে ধানের ব্লাস্ট রোগের আক্রমন বেড়ে যাবে। আমের মুকুল ঝরবে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা ডা: নিরুপম সরকার সোহাগ বলেন,বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাস কষ্ট সহ নিউমোনিয়া হতে পারে । সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ /জেএ
আপনার মতামত লিখুন :