মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ‘হামহাম’। স্থানীয় বাসিন্দারা একে হামহাম ঝর্ণা বলেও ডাকে। প্রায় ১৪টি পাহাড় ও পাথরের ছোট-বড় ছড়া পেরিয়ে এ ঝর্ণার কাছে পৌঁছাতে হয় পর্যটকদের। হামহাম জলপ্রপাতের প্রকৃত সৌন্দর্য ধরা পড়ে বর্ষার সময়। তবে জলপ্রপাতে পৌঁছাতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয় পর্যটকদের। তাই এ রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
হামহাম জলপ্রপাত, ১৭০ ফুট পাহাড়ের উপর থেকে স্বচ্ছ পানি আছড়ে পড়ছে বড় বড় পাথরের গায়ে। আর এ মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত ‘হামহাম জলপ্রপাত’। এর পশ্চিমদিকে চা বাগান, পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত। আর প্রায় ১০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় এ জলপরীর আঙ্গিনায়।
যাওয়ার পথে পাহাড়ি রাস্তায় চোখে পড়বে সারি সারি কলাগাছ, জারুল, সেগুন, কদম গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এছাড়া সবুজ ঘন বন আর নিস্তব্ধতায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী আর পাখ-পাখালির হাঁকডাকও শুনতে পাওয়া যায়। পর্যটকদের মুগ্ধ করতে সবুজ প্রকৃতির মাঝে এক অপরুপ ঝর্ণা ‘হামহাম জলপ্রপাত’।
পর্যটকরা জানান, সেখানে পৌঁছতে কিছুটা বেগ পেতে হলেও, পৌঁছানোর পর সেখানকার দৃশ্য তাদের মুগ্ধ করেছে।
কমলগঞ্জ থেকে জিপ গাড়িতে যেতে হয় চাপ্পারায় চা বাগানের কলাবাগান এলাকায়। সেখান থেকে পায়ে হাঁটার দুই ঘণ্টার রাস্তা গেলেই পৌঁছানো যায় হামহাম জলপ্রপাতে।
এলাকাবাসীরা জানান, বর্ষাকালে সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনায় তাদের জীবিকা চলে বলেও জানান তারা। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ রাস্তা সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘আমাদের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা প্রায়ই এখানে আসেন। পর্যটন স্পটে যাওয়ার পথে রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার হন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। সেখানে যাওয়ার যে রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে আগেই সম্পন্ন করা হয়েছিল। এখন কিছু সংস্কার কাজ প্রয়োজন হবে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে হামহাম জলপ্রপাতের সন্ধান মিললেও পর্যটক আনাগোনা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে।
সূত্র: এখন