এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেছেন।
[৩] আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নওশের আলী ‘আমাদের নতুন সময়’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
[৪] হিমুর খালা নাহিদ আক্তার ০২ নভেম্বর ২০২৩ রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় হিমুর বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়। গত ৪ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[৫] মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, জিয়াউদ্দিন রাফি হিমুর বয়ফ্রেন্ড এবং ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রি যাপন করতেন। গত ০১ নভেম্বর ২০২৩ হিমুর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করা নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। গত ০২ নভেম্বর ২০২৩ বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিংবেল দিলে ওই বাসায় থাকা মেকাপম্যান মিহির দরজা খুলে দেয়। তখন রাফি ভেতরে প্রবেশ করে এবং মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনিতো রুমেই ছিলেন। তখন রাফি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে গিয়ে তাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি কৌশলে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। মামলার পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী