শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: বেশ কিছুদিন ধরেই ফেসবুকে দাম্পত্য সমস্যা ও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন বিতর্কিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। কদিন আগে দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েও পোস্ট করেছেন তিনি। 

এরপর গণমাধ্যমে সানাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তার স্বামী আবু সালেহ মুসা। তিনি দাবি করেন, প্রায় সময়ই কথা-কাটাকাটি হত তাদের। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। তিনি বলেন, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সানাই আমাকে বটি নিয়ে আঘাত করেছে। ভাগ্য ভালো বলে আমি বটি ধরতে পেরেছিলাম, না ধরলে তো আমি মার্ডার হয়ে যেতাম। পরে বাসা থেকে বাইরে চলে আসতে পারছি। আজকে ঝাড়ু দিয়ে মেরেছে। এর আগে লাথিও মেরেছে, তবুও আমি কিছু বলিনি। আজকে দুই-তিনটা লাথি মেরে রীতিমতো আমার কিডনির সমস্যা করে দিয়েছে। পরে আমি একটি থাপ্পড় দিলে, সেও দুইটি থাপ্পড় মারে আমাকে। সূত্র: সময়ের কন্ঠস্বর

মুসা আরো বলেন, আমাকে প্রায়ই এভাবে মারধর করে সানাই। আমি এনিয়ে কিছু বলি না। কারণ, আমি চাই আমাদের সর্ম্পকটা টিকে থাকুক। আমি একটু শাসন করলে সেটাই অপরাধ। আমাদের মধ্যে কোনো কিছু গ্যাপ ছিল না। ফ্যামিলি থেকে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। ওরা আসেও না, আমাদেরকে দেখেও না।

তবে এবার স্বামীর অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন সানাই। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দিবাগত রাত ৩টা ৫১ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সেই পোস্টে নিজের ভেরিফায়েড পেজ হ্যাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন সানাই। সঙ্গে স্বামীকে মারধর করার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের দোষারোপ করেন তিনি।

ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে সানাই লেখেন, আসসালামু আলাইকুম, পেজ হ্যাক হওয়ার কারণে আমি অ্যাকসেস পাচ্ছিলাম না। আর ওইদিকে আমাকে নিয়ে যে লেভেলের উল্টাপাল্টা নিউজ হচ্ছে। আচ্ছা, সাংবাদিক ভাইয়ারা আপনাদের কাছে তো আমার নাম্বার আছে, নিউজের আগে কি আপনারা একটাবার আমাকে ফোন করার প্রয়োজন মনে করেন নি? আমি কোন দুঃখে আমার স্বামীকে মারতে যাবো? আর কিডনি ড্যামেজ করে দিছি মানে? আসেন আপনারা সবাই মিলে পপুলার কিংবা ল্যাবএইডে গিয়ে আমার স্বামীর কিডনি পরীক্ষা করে দেখি, রিপোর্ট কি আসে। অন দ্য স্পট প্রমাণ হবে কিডনি ঠিক আছে কি না। 

সানাই আরো লেখেন, এগুলো আশ্চর্যজনক নিউজ আপনারা কিসের ভিত্তিতে করেন? আপনারা আসেন না ভাই, ওকে নিয়ে পপুলার বা ল্যাবএইডে গিয়ে একটা টেস্ট করাই তারপর না হয় রিপোর্ট এর ছবি দিয়ে নিউজ করলেন। রিপোর্ট তো ভুয়া বানানো যায়। কারণ আমার স্বামীর পরিচিত ডাক্তার আছে ডজন ডজন। তাই তার কিডনির পরীক্ষা আপনাদের উপস্থিতিতে ফেসবুক লাইভে থেকে করা হবে। দেখি কী রিপোর্ট আসে। ওপেন চ্যালেঞ্জ করলাম আমি। কীভাবে আপনারা এসব অযাচিত নিউজ করেন?

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ মে পারিবারিক আয়োজনে কাউকে না জানিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চেয়েছিল সানাইয়ের পরিবার। পরে ঠিকই জানাজানি হয়ে যায়। সানাইয়ের পৈতৃক নিবাস নীলফামারীতে। তার স্বামী মুসার বাড়িও একই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুঠি এলাকায়। যদিও এর আগে ২০১৯ সালে সানাইয়ের একটি বিয়ের খবর শোনা যায়। সাবেক এক মন্ত্রীর সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল। সানাই নিজেও খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে ওই বিয়ে সম্পর্কে পরবর্তীতে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

এসএইচডি/এসএ