ইমরুল শাহেদ: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বামী রকিব সরকারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন নায়িকা মাহি। এ ব্যাপারে মাহি গণমাধ্যমকে জানান, রোববার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন রাকিব। সেখান থেকে তারা গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।
তার আগে শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে আসেন। পরে বেলা ১২টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদস্যরা বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাকে গাজীপুরের বাসন থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
কারাগারে যাওয়ার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরেই জামিন পান নায়িকা। বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন আদেশ দেন। প্রেগনেন্সি ও সেলেব্রিটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান মাহির আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত সরকার। এরপরই রাকিব সরকার দেশে আসেন।
মাহিয়া মাহি এখন শুধু একজন চিত্রনায়িকা নন। তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। গত উপনির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভে স্বামী রকিব সরকারের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন। এর আগে ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ’ নেয়ার অভিযোগ তোলেন মাহি। পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার হয়ে জামিন পেলেও রাকিব সরকার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইন-শৃংখলা বাহিনীর মুখোমুখি হতে হয়নি।
মাহি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা-জানালার কাঁচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলেছে। দুর্বৃত্তরা তার অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে। ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহি।
শুক্রবার রাতে বাসন থানার এসআই রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
আইএস/এএ
