শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: ১৫ মার্চ ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শাকিব খানের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ’সহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। এরপরদিন প্রযোজকের সঙ্গে সমঝোতা করতে গুলশানের একটি রেস্তোরায় বৈঠক করেন শাকিব। সেসময় শাকিব ও রহমত উল্ল্যাহ ছাড়াও আরোও উপস্থিত ছিলেন অপু বিশ্বাস ও প্রযোজক খোরশেদুল আলম খসরু। ঐ বৈঠকে কোনো মীমাংসা হয়নি।
এবার রহমত উল্ল্যাহর অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে ১৮ মার্চ (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান মডেল থানায় মানহানির মামলা করতে যান শাকিব খান। সেখানেই তার বিরুদ্ধে উঠা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন এই অভিনেতা। এর আগের তিনদিনে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠা স্বত্ত্বেও এ প্রসঙ্গে টু শব্দটিও করেননি তিনি। থানা থেকে বের হওয়ার সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাকিব খান।
এসময় তিনি বলেন, ‘উনি এই সিনেমার (অপারেশন অগ্নিপথ) প্রযোজক না, উনার সঙ্গে আমার কোনো কন্টাক্ট হয়নি। উনার সঙ্গে আমার ডিরেকটর আশিকুর রহমানেরও কোনো কন্টাক্ট হয়নি। উনি প্রথম শুরুই করেছেন কিন্তু মিথ্যাচার দিয়ে এবং সমস্ত বানোয়াট। আমি যেটা মনে করি, পাঁচটা অ্যাসোসিয়েশনে অভিযোগ দিয়েছে, নিশ্চয়ই এর সঙ্গে আরও অনেক লোক জড়িত আছে।’
শাকিব বলেন, ‘তিনি এই সিনেমার প্রযোজক না, তিনি কীভাবে কমপ্লেন করতে পারে এই সিনেমার প্রযোজক সেজে। এতবড় সাহস তার কোথা থেকে হলো? সে আমার শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেছে, পরিচালক সমিতিতে করেছে, অন্যান্য অ্যাসোসিয়শনে করেছে।’
এই সিনেমার আসল প্রযোজকের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে শাকিব বলেন, ‘সেই সিনেমার প্রযোজক যখন এই সমস্ত দেখতে পেয়েছে, তার সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সে কে? মানে রহমত উল্ল্যাহ কে? আমার সিনেমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে আপনার কাছে টাকা দাবি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার তো এই ধরণের কোনো এখতিয়ারই নেই ক্ষতিপূরণ চাওয়ার। সে কিন্তু বারবার একটা শব্দই বলে আমার টাকা দিয়ে দিক। আমার টাকা দিয়ে দিন আমি সব প্রত্যাহার করে নেব। কিসের টাকাটা সে চাইছে, সেই অভিযোগটা দিতেই আমি এখানে এসেছি।’
এসময় সাংবাদিকরা তাকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘সেই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়েই অভিযোগ করতে এসেছিলাম। থানা পরামর্শ দিয়েছে, এই অভিযোগগুলো বা মামলাটা কোর্টে করেন আরও ভালো হয়। যেহেতু উনারা পরামর্শ দিয়েছেন আমি এই মামলা করার জন্য কোর্টে যাব।’
অস্ট্রেলিয়ায় তার নামে মামলার বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যদি আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিচার না হয়ে সেখান থেকে আমি তো আসতে পারি না। অস্ট্রেলিয়ায় আইন-প্রসাশনের উপর তাইলে তো কোনো আস্থাই নাই। সে বলেছে (রহমত উল্ল্যাহ) এটা একটা কেস নম্বর, আসলে এটা কেস নম্বর না। তার পরতে পরতে মিথ্যা। তার প্রথম টার্গেটই কিন্তু আমার টাকাটা দিয়ে দিক। ইটস অ্যা ট্র্যাপ।’
এসময় শাকিবের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট খাইরুল বলেন, ‘আপনারা অস্ট্রেলিয়ার যে মামলাটার কথা বলছেন, সেটা কিন্তু তদন্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। উনি যদি ওখানে দোষী প্রমাণিত হতেন, আজকে কিন্তু উনি বাংলাদেশে আসতে পারতেন না। কেস শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং আপনারা অবশ্যই নিউজ পেতেন উনি যদি ওখানে গ্রেপ্তার হতেন। উনি যদি নারী ঘটিত কোনো কেলেঙ্কারি করতেন, উনিতো গ্রেপ্তার ছাড়া এই দেশে আসতে পারতেন না। এবং এটা সম্পূর্ণ ভুয়া ও সাজানো। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ এটা তদন্ত করেছে, তাদের লাস্ট উক্তি ছিল, মিষ্টার খান- দিস ইজ অ্যা হ্যানি ট্র্যাপ, সো বি অ্যাওয়ার ইউরসেলফ ফ্রম দেম।’
এসসিডি/একে