এম এম লিংকন, আব্দুল ওয়াদুদ: বগুড়া- ৪ ও ৬ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, এ সরকারের অধীনে আর সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আমার খালা ভোটের দিন এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছিলেন। খালা তিনবার একতারা চাপ দিয়েছেন তবে প্রতিবারই শুধু নৌকা উঠেছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনার রাদেশা সুলতানা বলছেন, হিরো আলমের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের ফলাফলের কপি নিতে যান বহুল আলোচিত এ প্রার্থী।
এদিকে একই দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, যেহেতু হিরো আলম ফলাফল নিয়ে অভিযোগ করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং টিভি-টকশোতেও একই অভিযোগ করেছে, সেটা দেখে সিইসি স্যার আমাকে ফলাফল পুনরায় যাচাইয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ফলাফলের সব কপি ঢাকায় পাঠাতে বলেন।
তিনি বলেন, পরে আমরা ফলাফল আবার যাচাই করে দেখেছি সব ঠিক আছে। আমরা তাকে ইভিএম মেশিনের ফলাফলের কপি এবং কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সই করা ফলাফলের কপি দিয়েছি।
নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে হিরো আলমের ভাষ্য, ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে রিট করবো। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। একশ্রেণির মানুষ আমাকে স্যার ডাকতে চায় না।
বুধবার রাতে হিরো আলম তার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বগুড়া-৪ আসনে ভোট কারচুপি না হলেও গণনার সময় ফল পাল্টানো হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রত্যেকের সঙ্গে স্যার (সিইসি) নিজে কথা বলেছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। ফলাফল শতভাগ ঠিকভাবে হয়েছে।
এমএল/প্রতিনিধি/এসবি২