মনিরুল ইসলাম : ময়মনসিংহের মেয়ে নাহিয়া কলি। নাহিয়া কলির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায়। আর তার শৈশবে বেড়ে উঠা রাজধানীর পুরান ঢাকায়। সংগীত তার স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে পুঁজি করেই নিজকে গড়ে তুলেছেন এই কন্ঠশিল্পী।
বর্তমানে স্টেজ ও রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কণ্ঠশিল্পী নাহিয়া কলি। তিনি স্টেজকন্যা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন দর্শক শ্রোতার মাঝে।
তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রোগ্রাম সহ ইতিমধ্যে নিজের কন্ঠে বেশ কয়েকটি মৌলিক গান করেছেন। এছাড়া টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ও নিয়মিত গান করছেন এই কণ্ঠশিল্পী।
নাহিয়া জানান, ছোটবেলায় ওস্তাদ আলম স্যারের হাত ধরে প্রথম হাতেখড়ি। তার পাশাপাশি তার মায়ের কাছে নিয়মিত গান শিখতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে অনুপ্রাশ ব্যান্ডের সাথে যুক্ত হন নাহিয়া। এবং নিয়মিত বিভিন্ন প্রোগ্রামে গান করতেন এই গান পাগল মানুষটি।
নিজের লেখা ও সুরে 'তুমি ছাড়া' মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন নাহিয়া। গানটি প্রকাশের পর থেকে বেশ প্রশংসা সহ সুনাম কুড়ান এই শিল্পী। পরবর্তীতে নাহিয়ার কন্ঠে একে একে প্রকাশিত হয় 'ভালোবাসার শেষ ঠিকানা,জানরে,বলবো কথা কানে কানে,সিট খালি নাই,গরম চায়ের কাপে সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক গান।
গানগুলো ইউটিউব সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনায় নিয়ে আসে তাকে। বর্তমানে অপ্রকাশিত গানের তালিকায় রয়েছে এই শিল্পীর বেশ কয়েকটি মৌলিক গান। গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি গান লিখেন ও সুর করেন। পাশাপাশি তিনি র্যাম্প মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন।
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, গানের মাধ্যমে আমি দর্শক শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই। সঙ্গীত আমার স্বপ্ন ও সাধনা। আমাদের শ্রোতাদের জন্য ভালো ভালো বাংলা গান করে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন,আমি ভালো কথা ও সুরের গান করতে চাই। বাংলা গানকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। যত দিন বেঁচে আছি সঙ্গীতের সাথে থাকতে চাই। সবার দোয়া চাই।
নাহিয়া কলি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিয়মিত বাংলা গান শুনবেন। দেশীয় শিল্পীর গানকে প্রাধান্য দিবেন। গানের শিল্পীকে অনুপ্রাণিত করবেন। তা হলে বাংলা গান আরও এগিয়ে যাবে।