নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশন নাটকের পরিচিত মুখ সমু চৌধুরী। সে সময় টিভি নাটকে দর্শক মাতিয়েছিলেন এই মঞ্চ অভিনেতা। মাঝে অভিমান করে কয়েক বছর অভিনয়জগৎ থেকে দূরে ছিলেন সমু চৌধুরী। প্রায় তিন বছর কাজ করেননি কোনো। নিজের গ্রামের বাড়ি যশোরে চলে গিয়েছিলেন। পরে শিল্পী ঐক্য জোটের মাধ্যমে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন। এরপর থেকে কাজ করছেন নিয়মিতই।
এদিকে, হুট করেই সমু চৌধুরীকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু।
বিষয়টি নিয়ে অপু বলেন, সমুদাকে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের ঐতিহ্যবাহী গাব বৃক্ষের নিচে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এরকম খবর পেয়ে আমরা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করি। ওখানে আমাদের লোকজন আছে। তাদের সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ওনাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
হঠাৎ সমুর এরকম অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে অপু বলেন, ওনার এই সমস্যা আগে থেকেই ছিল। এর আগে অনেকটা সময় ভারসাম্যহীন ছিলেন তিনি।
সমু চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রথম লেখা হয় লুরিহাজ মালসি নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। সেখানে দেখা যায় গাছের নিচে পাটিতে গামছা পরিহিত অবস্থায় শুয়ে আছেন অভিনেতা।
ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, চলচ্চিত্র ও নাট্যকার সমু চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের ঐতিহ্যবাহী গাব বৃক্ষের নিচে এভাবেই শুয়ে আছেন। মনে হচ্ছে উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। ওনার আত্মীয়স্বজন বা কাছের প্রিয়জনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনার চলচ্চিত্রের এই গুনি ব্যক্তিকে সাহায্যের মাধ্যমে, সবাই শেয়ার করে দেবেন উনি যেন ওনার প্রিয়জনদের কাছে সহি সালামতে পৌছে যেতে পারেন। জায়গাটার নাম (মুখী শাহ্ মিসকিন মাজার, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।) এর কিছুক্ষণ পর অপু জানান, নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে সমু চৌধুরীকে।
সমু চৌধুরীকে সবশেষ দেখা গেছে ‘ক্ষতিপুরণ নামের একটি ইউটিউব ফিল্মে। এটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা কামাল রাজ। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মালাইকা চৌধুরী ও ইয়াশ রোহান।