শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা: চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রিেণতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ বছর গণিতে ভরাডুবির কারণে কুমিল্লা বোর্ডে ফল বিপর্যয়ে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লাসহ ছয় জেলার ৪৬৮টি কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংকট দেখা দিয়েছে। এই বোর্ডের অধীনে থাকা কলেজগুলোর একাদশ শ্রিেণতে এবার দেড় লাখেরও বেশি ভর্তি আসন খালি থাকবে।
শিক্ষার্থী না পেলে অনেক কলেজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড সূত্র। তবে এ বিষয়ে এখনো মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। সূত্র মতে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় ৪৬৮টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ও ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে নিজস্ব শিক্ষার্থী ছাড়া বাইরের কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে না। বোর্ডের কলেজগুলোতে দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি আসন রয়েছে। ২০২৫ খ্রষ্টািব্দরে এসএসসির প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ ছয় হাজার ৫৮১ জন।
সেই হিসেবে এ বছর আসন খালি থাকবে এক লাখ ৫২ হাজার ৬৭৯টি। এতে করে কলেজ কর্তৃপক্ষ একাদশে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে দুশ্চন্তািয় পড়েছে। ২০২৪ খ্রষ্টািব্দে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮১ জন। এদের মধ্যে একাদশ শ্রিেণতে ভর্তি হয়নি ১৯ হাজার ৪৫৬ জন। এদের বেশির ভাগই ঝরে গেছে, কেউ কেউ অন্য বোর্ডে ভর্তি হয়েছে। একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ভর্তি তালিকায় রয়েছে শহরের কলেজগুলো।
এর মধ্যে প্রথম চয়েজ ভিক্টােরিয়া সরকারি কলেজ, এরপর কুমিল্লা সরকারি কলেজ ও কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজ। তবে বেসরকারি কলেজের একাধিক শিক্ষক বলছেন, কিছু সরকারি কলেজ রয়েছে যেখানে শিক্ষকসংকট এবং শিক্ষার মানও উন্নত নয়। অথচ সেখানে আসন বেশি রয়েছে। সেগুলো ভালো বেসরকারি কলেজে বণ্টন করা যেতে পারে।
কুমিল্লা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ বলেন, সব কলেজে শিক্ষার্থী সংকট হবে বিষয়টি আমি বিশ্বাস করি না। কারণ যেসব কলেজে মানসম্মত পাঠদান হয়, তাদের শিক্ষার্থী পেতে সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাই খুঁজে বের করবেন এসব কলেজ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ উপপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মজুমদার বলেন, কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে মোট ৪৬৮টি কলেজ রয়েছে। কলেজগুলোতে দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি আসন থাকলেও এবার অনেক কলেজ প্রত্যাশিত শিক্ষার্থী পাবে না। দেড় লাখেরও বেশি আসন খালি থাকবে।