শিরোনাম
◈ ওসমান হাদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেভাবে জরুরি হয়ে উঠেছিলেন ◈ সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ ও মেয়রের বাড়িতে আগুন ◈ হাদির হত্যাকাণ্ড রাজনীতিতে ভয়াবহ মোড়ের ইঙ্গিত: আলজাজিরার বিশ্লেষণ ◈ পা‌কিস্তা‌নের কা‌ছে পরা‌জিত হ‌য়ে যুব এ‌শিয়া কা‌পের সেমিফাইনাল থে‌কে বাংলাদেশের বিদায় ◈ বাংলাদেশ ইস্যুতে সংলাপ বজায় রাখার সুপারিশ, হাসিনার রাজনৈতিক ভূমিকা নয়: ভারত ◈ শহীদ ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে ৭ নির্দেশনা ডিএমপির ◈ গভীর রাতে নদী ও ইটভাটায় চলে প্রশিক্ষণ, চার বিভাগে সক্রিয় শুটার নেটওয়ার্ক ◈ হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত, ঢাকায় বিজিবি মোতায়েন, বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ সতর্কতা ◈ সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে শনিবার ◈ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যায় জাতিসংঘের উদ্বেগ, দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আহ্বান

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 এ আর রহমান কেন আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন?

অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক ও সুরকার এ আর রহমানের ২৯ বছরের দাম্পত্যে বিচ্ছেদের আজ ১০ দিন হলো। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর থেকে এসব নিয়ে প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনামে তিনি। এমন কঠিন সময়ের মধ্যেই গোয়ায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন রহমান। সেখানে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তিনি বলেন, এক সময় মানসিক অবসাদের কারণে তাঁর আত্মহত্যা করার কথাও মনে হয়েছিল।

আইএফএফআই এর মঞ্চে এ আর রহমান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন। সংগীত মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, সেই বিষয়টি ছিল প্রধান বিষয়। তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত মানুষকে অবসাদ ঘিরে ধরেছে, সংগীত তাঁদের সেরে ওঠার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। কমবেশি আমাদের প্রায় সকলেরই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে, অবসাদ রয়েছে।

এর কারণ আমার মনে হয়- আমাদের মধ্যে একটা শূন্যতা আছে। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন কোনো গল্পকথক কিংবা এমন কোনো কাজ যা মানুষকে আনন্দ দেয়। যেটা করতে গিয়ে তিনি নিজেই জানেন না যে অজান্তে সেটা ওষুধের মতো কাজ করছে। হিংসা বা যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোই সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকেও বাইরে।’

ছোটবেলার প্রসঙ্গ টেনে এ আর রহমান বলেন, ‘ছোটবেলায় আমারও আত্মহত্যা করার কথা মনে হয়েছিল। সুইসাইডাল ভাবনা-চিন্তা আসত মনে। তবে আমার মা একটা দারুণ উপদেশ দিয়েছিলেন। উনি বলতেন- “তুমি অন্যের জন্য বাঁচলে কখনো স্বার্থপর হবে না। বেঁচে থাকার অন্য অর্থ খুঁজে পাবে।” সেই কথাগুলো জীবনে মনে রেখে দিয়েছি।’

শিল্পীর কথায় আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়াও পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে আমাদের সকলেরই একটা অন্ধকার অধ্যায় আছে। এই বিশাল পৃথিবীতে এটা ছোট্ট সফর মাত্র। আমরা জন্মেছি এবং আমরা চলেও যাব। আমরা কেউই এখানকার চিরস্থায়ী বাসিন্দা নই। আমরা কোথায় যাচ্ছি, কেউ জানি না। এটি প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কল্পনাজগত এবং বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়