ইমরুল শাহেদ: [২] নব্বইয়ের দশকের খ্যাতিমান মডেল, বিউটি কুইন, বলিউড অভিনেত্রী ও প্রযোজক বরখা মদন এখন গ্যালটেন সামটেন নামে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু। ১৯৯৬ সালে ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক হয়েছিল। এরপর তিনি ড্রাইভিং মিস পলমেন, তেরা মেরা প্যায়ার, ভূত, সময়: হোয়েন টাইম স্ট্রাইকস, সোচ লো এবং সুরখাভ ছবিতে অভিনয় করেন। পাশাপাশি ১৮৫৭ ক্রান্তি, ঘর এক স্বপ্ন, সাথ ফেরে- সালোনি কা সফর ও নাইয়াই নামে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। কিন্তু এসব কিছুই তাকে চলচ্চিত্রের স্বপ্নপূরীতে আটকে রাখতে পারেনি। বৌদ্ধ মঠ পরিদর্শন করতে গিয়ে বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সংসারের মায়া ত্যাগ করে বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়ে যান। মাথার চুল কামানো, সন্ন্যাসীর বেশে বরখাকে দেখলে অনেকে চিনতেই পারবেন না! সূত্র: নিউজ১৮, উইকিপিডিয়া
[৩] সুস্মিতা-ঐশ্বরিয়াদের সঙ্গে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বরখা মদন। থার্ড রানার-আপও হন।
[৪] বলিউড ছাড়তে কেবল কি বৌদ্ধ আদর্শই তাকে আকৃষ্ট করেছে? এমনটা নয়। তিনি রামগোপাল ভার্মার ভূত ছবিতে অজয়-উর্মিলার পাশে ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু তাতেও তার কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি। সহকর্মী সুস্মিতা-ঐশ্বরিয়ারা ততদিনে আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে গিয়েছেন। ভাগ্য পরীক্ষা করতে টেলিভিশনে পা দেন। সেখানেও তিনি সাফল্য পাননি। এভাবে ধীরে ধীরে মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে পাঞ্জাবী পরিবারের মেয়ে বরখার।
[৫] অভিনয় কেরিয়ারে ধস নামলে তিনি প্রযোজনা সংস্থা খোলেন। ‘সোচ লো’, ‘সুরখাভ’ নামের দুটি ছবিও প্রযোজনা করেন। কিন্তু লাভের মুখ দেখেননি। অগত্যা গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন বরখা।
[৬] নতুন জীবনে পরিতৃপ্ত তিনি। গ্ল্যামার জগতের প্রতি কোনও আকর্ষণ নেই তার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি সন্তুষ্ট। বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কোনও ভুল করিনি।’ সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২