এম এম লিংকন: নির্বাচন কমিশন এও বলছে, কোন রাজনৈতিক দল নতুন অফিস নিলে মিলাদ দেয় এবং এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকসহ আরো অনেককে দাওয়াত দেয়। এ সব অনুষ্ঠানের প্রমাণ দিলেও চলবে। সম্প্রতি রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে এ কথা বলেন কমিশনার মো. আলমগীর।
প্রাথমিক বাছাইয়ে থাকা ১২ টি দলের মধ্যে রয়েছে- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়াতাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি(বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)।
কার্যালয়ের ব্যানার বা বিলবোর্ড বড় দলগুলো খুলে ফেলছে এমন অভিযোগ করেছে নিবন্ধন প্রত্যাশী দলগুলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করেছেন। তখন তো সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা বলেছেন, যে ভেঙে ফেলেছেন, এক্ষেত্রে আগে যে ছিল, তার কোনো ফটো দেখাতে হবে। প্রমাণ থাকতে হবে, যে ছিল। প্রমাণের দায়িত্বও তো তার। অফিস করলে তো মিলাদ দেয়, সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়, সেগুলোর প্রমাণ দেখাবে। এটাতো বললেই হবে না। একটা কমিটির দুইশ সমর্থক দেখাতে হবে, তাদের কাছ থেকে তথ্য নেবে মাঠ কর্মকর্তারা যে আসলেই ভেঙে ফেলা হয়েছে কিনা।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, মাঠ কর্মকর্তাদের দলীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে তথ্য পাঠাতে সোমবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। হয়তো আসতে আরও দুয়েকদিন সময় লাগবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কমিটির বিষয়ে ১২টা দলের তথ্যই আমরা পেয়ে গেছি। কিন্তু জেলার তথ্য পুরোপুরি পাইনি। কোনোটা ৭০ শতাংশ, কোনটার ৫০ শতাংশ, কোনোটার ৪০ শতাংশ আসছে। আর উপজেলার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত তথ্য আসছে। আগামী তিন চারদিন পর যথাযথ তথ্যটা আমরা বলতে পারব, কী পেয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শতভাগ শর্ত পূরণ করলে আমরা বিজ্ঞাপন দেবো, যে এই দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারো কোনো আপত্তি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জানান। তখন আপত্তি জানালে শুনানি হবে। আমরা আবার যাচাই করবো। অভিযোগ সঠিক না হলে পাবে। আর সঠিক হলে পাবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, সংবিধান বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং বাংলাদেশের নাগরিক না হলে হবে না। এমন অনেক শর্ত আছে তো। কাগজে কলমে তারা এসব শর্ত পূরণের কথা বলেছে, এসব ফিল্ডে দেখা হয়েছে। মাঠের তথ্যের যদি অসামঞ্জস্য হলে নিবন্ধন পাবে না।
জুন বা সর্বোচ্চ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। রাজনৈতিক দল হিসেবে নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩ টি দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ইসির প্রাথমকি বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত টিকে আছে ১২ দল।
দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪১টি। নতুন কোনো নিবন্ধন পেলে সেই দলটিও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএল/এসএইচবি/এএ