এম এম লিংকন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ( গোলাপ ) হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়ে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা কমিশন আইনে নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এই সংসদ সদদ্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকলে তা দুদক দেখবে। রোবাবর ( ১৫ জানুয়ারী) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সোবহান মিয়া (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি। এই তথ্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট বা ওসিসিআরপি তাদের ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, প্রার্থীরা হলফনামা আমাদের জমা দিবে। কিন্তু সেই হলফনামার সত্য অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কোনো কিছু করার আইনের ভিত্তি নাই। হলফনামা যেটা দেয় সেটা এক ধরণের জাতিকে তথ্য জানানোর দায়িত্ব আমাদের। তবে, নমিনেশন সাবমিটের আগে জানালে ব্যবস্থা নিবো।
প্রার্থী ভুল তথ্য দিলে সে কোয়ালিফাইড হবে না জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচিত হয়ে যান। কেউ যদি চ্যালেঞ্জ না করে এখন উনি নির্বাচিত হয়ে গেছেন। উনি ভুল তথ্য দিয়েছেন এটা বললে হবে না প্রমাণ করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। ব্যবস্থা নেয়ার পর যখন পাঠাবেন তখন ব্যবস্থা নিব।
দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ ভোটে অংশ নিতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের নাগরিকরা পারবেন না। বাংলাদেশ নাগরিকত্ব দেখে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা দেখবে। তারা আমাদের বললে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।
ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বৈত ভোটার হওয়া অপরাধ জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, শাস্তি অনেক কঠিন শাস্তি। তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা হবে। ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা যাবে পাশাপাশি জেল খাটতে হবে।
২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা ভিত্তি ধরা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে একটা সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে ভোটার হলে তারাও অন্তর্ভুক্ত হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোটের ধীরগতি এড়াতে ভোটারদের দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইল মো. আলমগীর বলেন, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। জেলা শহর মেট্রোপলিটন এলাকায় ইভিএমে ভোট হবে। সেখানে ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়াতে যথেষ্ট আন্তরিকতা ছিল। ইভিএমে ভোট হলে আইডেন্টিফিকেশন যাতে সহজে করা যায়।
এমএল/এএ