এম এম লিংকন: আওয়ামী লীগ -বিএনপিসহ ২১ টি দল নিবন্ধন শর্ত পালন করতে পারছে কি না তার প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশনে। তবে, বিএনপিসহ তিনটি দল আরো সময় চেয়েছে বলে জানান ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আর জবাব দিয়েছে ১৮টি দল। চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর ইসির পাঠানো চিঠিতে ৩০ কর্মদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
চিঠিতে দলগুলোর কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অফিস; নির্বাচিত কমিটি ও সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে কি না তার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
২০০৮ সাল থেকে সংসদ নির্বাচনের আগে দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এই পর্যন্ত ৪৪টি দল নিবন্ধন পায় ইসির। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বিভিন্ন কারণে বাতিল হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছে ৩৯টি রাজনৈতিক দল।
শর্ত পূরণে বার্থ হলে নিবন্ধন বাতিল করবেন কি না জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, কী শর্ত পূরণ করতে পারে নাই, তার উপরে নির্ভর করে। নিবন্ধন বাতিলের মতো হলে হবে। তবে এ বিষয়ে তো এখনও জানি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি কমিশনে উঠার পর সময় বাড়ানো হবে কি না তা বিস্তারিত জানাবো।
নিবন্ধিত দলগুলো ইসির শর্ত মানছে কি না তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে উপ-সচিব আব্দুল হালিম খান আমাদের নতুন সময়কে বলেন, এর মধ্যে কয়েকটি দল সময় চেয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিএনপি। আর তিনমাস সময় চেয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
দলগুলোর জন্য সময় বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কমিশনের কাছে এ বিষয়ে উপস্থাপন করবো। কমিশন দেখে সময় বাড়াবে কি না তা বিবেচনা করবে। কোনো দল শর্ত পালন না করলে কমিশন চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জানান ইসির উপ-সচিব। তিনি জানান, অতীতেও কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রেকর্ড আছে।
ইসিতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া দলগুলো হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বি জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, মুক্তিজোট, গণফোরাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি জেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
আরো সময় চাওয়া দলগুলো হলো- বিএনপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
ইসিতে প্রতিবেদন জমার জবাব দেয়নি- আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামিক ফ্রন্ট।
এমএমএল/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :