শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, পুলিশ মোতায়েন ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত ◈ চুয়াডাঙ্গায় পানের বরজে আগুন ◈ মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি ◈ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি ◈ মানবপাচার ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবি প্রধান ◈ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি ◈ কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি গ্রেপ্তার  ◈ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব: প্রধান বিচারপতি 

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নার্ভাসনেস কাটিয়ে মুখে হাসি তাদের!

অপূর্ব চৌধুরী, জবি: গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৪৩জন শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস সাজানো হয়। কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে ও পরীক্ষার আগমুহূর্ত পর্যন্ত নার্ভাসনেস কাজ করলেও পরীক্ষা শেষে স্বস্তির হাসি দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মুখে। 

এদিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলে ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বৃষ্টি শুরু হলেও স্বস্তির হাসি সরেনি শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। শিক্ষার্থীরা জানান, এবার পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ শর্ট সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন হওয়ায় তাদের প্রস্তুতি অনুযায়ী পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পড়ে। তাতে পরীক্ষা ভালোভাবে দেয়া তুলনামূলক সহজ হয়েছে। গত বছর শর্ট সিলেবাস থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কথা বলা হলেও কার্যত সেটি হয়নি। ফলে পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা একপ্রকার অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। এবছর সেটির পুনরাবৃত্তি হয়নি।

অন্যদিকে যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হলেও যতটুকু সময় বাকি ছিল (নির্ধারিত সময়ের মধ্যে) সে সময়টাতেই পরীক্ষা দিতে পেরেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ফলে যানজট তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের প্রাথমিক ধাপে নিজেকে প্রমাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। 

 কয়েকজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে গেলেও তাদেরকে যত্নের সাথে পরীক্ষার নির্ধারিত রুমে পৌঁছে দিতে দেখা গেছে কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের। আর নির্ধারিত কারিকুলামের প্রশ্ন আসায় পরীক্ষা শেষে অধিকাংশের মুখেই ছিল হাসি।

পরীক্ষা শেষে দীপ্ত বিশ্বাস নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, আমার একটা শারীরিক সমস্যা ছিল। তাই আবেদন করে শ্রুতিলেখকের সহায়তায় মেডিকেল সেন্টার পরীক্ষা দিতে পেরেছি। পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত কারিকুলামেই প্রশ্ন আসায় সহজ হয়েছে। শারীরিক সমস্যা আমার স্বপ্ন পূরণে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবেনা আশা করি। 

দিনাজপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আতিক হাসান বলেন, একটা শঙ্কা ও নার্ভাসনেস কাজ করছিল কেন্দ্রে যাওয়ার পূর্বে। কতটুকু কমন পড়বে বা আদৌ পড়বে কিনা কিংবা শর্ট সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন আসবে কিনা এসব নিয়ে। তবে প্রশ্ন নির্ধারিত সিলেবাস থেকেই হয়েছে। তাই পরীক্ষা ভালো দিতে পেরেছি। এখন ভালো লাগছে। আশা করি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন,আমরা চেষ্টা করেছি এবার বিগত বছরের অসংগতিগুলো দূর করার। যেন শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। আর শর্ট সিলেবাস থেকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেটিই বাস্তবায়ন হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষাও শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে দিতে পারবে বলে আশা করছি৷ কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালো ভাবে পরীক্ষা দিতে পারলেই আমাদের স্বার্থকতা ও আনন্দ। শিক্ষার্থীদের ঝামেলা যত কমবে ততই আমরা মানসিকভাবে সন্তুষ্ট হব। এটিই হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, গত ২০মে মানবিক (বি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয়বারের মত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। আগামী ৩জুন বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়