শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৮ বিকাল
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৫:২৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ

বিক্ষোভ

জিল্লুর রহমান, চবি: টেকনাফে জাহাজ কর্মচারী কর্তৃক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। 

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তারা শীঘ্রই হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদি হয়ে মামলা করার দাবি জানান।

আন্দোলনকারীদের হাতে ‘পর্যটন কেন্দ্রে সন্ত্রাস কেন’ ‘শিক্ষকের বুকে লাথি, কিভাবে জ্বলবে শিক্ষার বাতি’ ‘ছাত্র শিক্ষকের নিরাপত্তা কোথায়’ ‘স্বাধীন দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ট্যুরে গিয়ে জাহাজ স্টাফদের হামলার শিকার হয়েছি। আমরা ওখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা ঝামেলা তৈরি করতে যাইনি। কিন্তু আমাদের ওপর জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয়রা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ৫ দিনেও নামমাত্র একজনকে আটক করা ছাড়া অন্য কোনো অপরাধী এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় বাদি হয়ে যে মামলা করার কথা ছিল সেটার ব্যাপারেও আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের নিকট দাবি থাকবে খুব শীঘ্রই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

অন্যদিকে, একই ঘটনার প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের সামনে চবি শিক্ষক সমিতিও মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে যেন এই ঘটনায় মামলা ও আইনি পদক্ষেপ নেয়।

এছাড়া মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, অর্থনীতি বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি ও চবি শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানানো হয়।

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে এবং এটিকে ফলোআপে রাখতে হবে। ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে যে প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, সেইভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই ঘটনার পর দ্রুত বিচার হবে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা স্থানীয় প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি। এখন আর সমঝোতার প্রশ্ন নেই, যারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, তারা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নয়, সমগ্র দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাজকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি মামলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। মূলত এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না দেখি, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট ও টেকনাফ জেটিঘাটে পরপর দুই দফা জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয় লোকদের হাতে হামলার শিকার হন চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়