শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:১৭ দুপুর
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাসারে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ

এইচ এম মিলন, কালকিনি (মাদারীপুর): মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলেজের সংস্কৃত বিভাগের প্রধান সিনিয়র শিক্ষক সন্ধ্যা রানী দাস। বাকি ৬জন হলেন- প্রভাষক বিবেকানন্দ দাশ, নাসরিন খানম, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ রহমান, মো. সালাউদ্দিন, হুমায়ন কবির ও শেখ মাহবুবুল আলম। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির ঘটনার দুই মাস হতে চললেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে ভয়ে ওই ছাত্রী কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও পাঁচবার বিভিন্ন কারণে কলেজ থেকে শোকজ করা হয়। সর্বশেষ এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। যদিও ওই শিক্ষকের দাবি, তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক কলেজের ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসেই ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। গত ২৪ জুলাই ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই শিক্ষক তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ২০৪ নম্বর কক্ষে যান। পড়ানো শেষে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে তিনি যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাসে চলে যায়। এরপর ওই ছাত্রী শিক্ষকের বিচার চেয়ে ১ আগস্ট অধ্যক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। এক মাসের বেশি সময় পর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা। ১৪ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। সেখানে তিনি এ ঘটনা পুরোটাই সাজানো এবং তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।  

সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমাদের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়। সেই মিটিং এ ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই ওই শিক্ষকের বিষয় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্পাদনা: হ্যাপী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়