আবু নাসের, সালথা (ফরিদপুর): [২] মাঠকে মাঠ সবুজ রঙ্গের গাছের গোড়ায় উঁকি মারছে লাল রঙ্গের হালি পেঁয়াজ। কযেকদিন পরেই পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযোগী হয়ে উঠবে। তার আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় ফরিদপুরের সালথায় হালি পেঁয়াজ উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে চাষিরা।
[৩] ফলন একটু কম হলেও দামে পুষিয়ে যাচ্ছে তাদের। প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ মণ। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে আর ১৫দিন পরে পেঁয়াজ উত্তোলন করলে ৮০ থেকে ৯০ মণ বিঘাপ্রতি ফলন হবে বলে জানা গেছে।
[৪] উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন, এবছর সালথা উপজেলায় ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। সর্বমোট ১ লাখ ৭৫ হাজার মেঃটন পেঁয়াজ উৎপাদণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫] উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লিখন মাতুব্বর নামে এক তরুন চাষি বলেন, নিচু জমি থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু করেছি। ফলন বিঘাপ্রতি ৮০ মন করে হচ্ছে। সালথার হাটে প্রতিমণ পেঁয়াজ ৩৭৫০ টাকা করে বিক্রি করেছি। ফলনও ভালো, দামও ভালো, সবমিলিয়ে আমরা ভালো আছি। দাম এরকম থাকলে চাষিরা লাভবান হবে।
[৬] আহাদ মৃধা নামে আরেক চাষি বলেন, একবিঘা জমি থেকে পেঁয়াজ উঠাচ্ছি। যদিও ফলন একটু কম হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো পাচ্ছি, তাই ফলন কম হলেও দামে পুষিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাকি জমির পেঁয়াজ ঘরে রাখার জন্য কয়েকদিন পরে উঠানো হবে। তবে পুরো সিজনে প্রতিমণ পেঁয়াজ ২৫শ টাকার নিচে হলে আমাদের লোকসান হবে। কারণ পেঁয়াজ চাষে খরচ অনেক বেশি।
[৭] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ তুরাজ বলেন, এবছর সালথায় ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হযেছে। উপজেলার মোট জমির পেঁয়াজ উৎপাদণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেঃ টন। আবহাওয়া যদি পেঁয়াজের অনুকূলে থাকে তাহলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
[৮] বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় দু-একজন চাষি পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু করেছে। কয়েকদিন পর পেঁয়াজ ভালো করে পাকবে তারপর পুরোদমে পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :