মাসুদ আলম: [৩] ভারত গত শুক্রবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর দেশের বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৭৪০ টন পেঁয়াজ এসেছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রোববার এলক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সকল জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৪] বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার বাজারে পেঁয়াজের দাম আর না বাড়লেও শনিবারের তুলনায় কমেওনি। দেশি পেঁয়াজের কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। যা শুক্রবারেও বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। যা শুক্রবারেও বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা। তবে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের চালান বাজারে আসতে শুরু করেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[৫] ভাটারা নুরেরচালা ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, আড়তদাররা বলছেন ভারত পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করার খবর পাইয়া সাপ্লাই কইমা গেছে। সাপ্লাই কমলে বাজারে তো দাম বাড়বই। পাইকারী বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও কমবে। পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। দাম বাড়ায় বিক্রিও কমেছে।
[৬] আড়তদারা বলছেন, এই সময়ে পুরোনো দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ এমনিতেই কম থাকে। আমদানি করা পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজ এসে বাজার দখল করে। তবে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ার খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যেহেতু নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে, তাতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম নেমে আসবে।
[৭] বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এমএ/এসবি/একে