মাসুদ আলম: [২] ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। শুক্রবার এই খবর প্রকাশের পর থেকেই হু হু করে দাম বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের। রাজধানীসহ সারাদেশে এক দিনের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেড়েছে।
[৩] শনিবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত, ভাটারা, বাড্ডা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছিলো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে মানভেদে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছিলো ১১০ টাকায়।
[৪] সরেজমিনে দেখা যায়, আবার কোনো কোনো পাইকারী আড়তে দেশি পেঁয়াজ বেচা বন্ধ রেখেছে। আবার কেউ আড়তও বন্ধ রেখেছে। দাম বাড়ায় পাড়া মহল্লার অনেক দোকানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা দোকানদারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
[৫] ভাটারা নুরের চালার মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম আলী বলেন, শুক্রবার ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ১১০ টাকা। শনিবার পাইকারি কেনা হয়েছে ১৯০ টাকা কেজি। বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা। এছাড়া আড়তে গিয়ে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। আড়তরা বলছেন দেশি পেঁয়াজ নেই। তাই আপাতত দেশি পেঁয়াজ বন্ধ রয়েছে। মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধের এ খবরেই দাম বেড়েছে।
[৬] ভাটারা নতুনবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সোহান বলেন, শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১৩০ টাকা। শনিবার বিক্রি করা হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই পেঁয়াজের দাম ২-৩ দিনের মধ্যে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
[৭] এলিফ্যান্ট রোডের এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ম্যানেজার বলেন, দাম অস্বাভাবিক ভাড়ায় পেয়াঁজ বিক্রি আপাতত বন্ধ রেখেছি।
[৮] খিলক্ষেত বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, ভাবছিলাম নতুন পেঁয়াজ আসতেছে, এখন আর দাম বাড়বে না, বরং কমবে। এ জন্য আগেভাগে পেঁয়াজ কিনেও রাখিনি। পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছে পেঁয়াজ ছাড়া দরকারি খেতে হবে। বাধ্য হয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ২২০ টাকায়। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এমএ/আইকে/এনএইচ