আমিনুল ইসলাম: [২] চট্টগ্রামে এক নাগরিক পদযাত্রায় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে (এআইআইবি) কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালনিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। শনিবার ক্যাবের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। নগরীর বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের চত্বরে এক পদযাত্রার আয়োজন করে বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন এবং বিডাব্লুজিইডি।
[৩] এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নেরে সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, চান্দগাঁও পাবলিক ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সদস্য মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, ক্যাব যুব গ্রুপের আইন সম্পাদক মিনা আকতার।
[৪] পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক(এআইআইবি) একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক তথা বেইজিং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহু-পাক্ষিক অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। যার লক্ষ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে উন্নত করা। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রথম তিন বছরের মধ্যে যত অর্থ বিনিয়য়োগ করেছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বিনিয়য়োগই কয়লা এবং এলএনজি ভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্প। গ্যাস-কয়লা-তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।
[৫] বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় বাংলাদেশকে আর ডলার সংকটের দিকে ঠেলে না দেবার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। যেখানে ২০১৩ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিলো ১৩৯ কোটি ডলার, ২০২২ সালে সেটা ২০২২ সালে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ দাড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও ডিজেল ভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এআই/টিএবি/এনএইচ