শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধারাবাহিকভাবে দেশে মূল্যস্ফীতি কমছে

ধারাবাহিকভাবে দেশে মূল্যস্ফীতি কমছে

মৌসুমী মিতু: মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির স্বাভাবিক চিত্র হলেও বড় ধরনের মুল্যস্ফীতি কে অর্থনীতির জন্য অভিঘাত হিসেবে দেখা হয়। দেশের মূল্যস্ফীতি কমছে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের শুরুতেও কমেছে মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে বছরের ব্যবধানে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিবিএসের হালনাগাদ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চলতি মাসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, খাদ্য খাতে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা গত মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। জানুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

বিবিএস তার পরিসংখ্যানে বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও। জানুয়ারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সময়ে শহরের চেয়ে গ্রামের মূল্যস্ফীতি বেশি । জানুয়ারি মাসে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময় শহরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দমমিক ৩৯ শতাংশ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকে মূল্যস্ফীতির হার কমছে। সেটা প্রান্তিক হারে কমলেও তো কমছে। একই সঙ্গে মজুরির হারও বাড়ছে। এটাই প্রমাণ করে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম সক্রিয় আছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লেও মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ বাড়ছে। একই সঙ্গে শিল্প খাতের উৎপাদনও বাড়ছে। এসব কারণে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অক্টোবরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) হয়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার এই প্রবণতা সামনের মাসগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি  বলেন, পাশাপাশি মানুষের গড় মজুরি বেড়েছে। অক্টোবরে গড় মুজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কমে মজুরি হার বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দামের তথ্য নিয়ে ভোক্তা মূল্যসূচকের হিসাব করে থাকে বিবিএস। আগের বছরের নির্দিষ্ট কোনো মাসের তুলনায় পরের বছর একই মাসে ওই সূচক যতটুকু বাড়ে তার শতকরা হারই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি। অন্যদিকে ১২ মাসের পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয়।

এমএম/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়