শিরোনাম
◈ চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে যা জানালেন ◈ নেতাকর্মীদের জন্য জামায়াত আমিরের জরুরি বার্তা ◈ ঋণের চাপে ছোট হচ্ছে বাজেট, ৪ বছরে উন্নয়নে বরাদ্দ সর্বনিম্ন ◈ গাজীপুরে হত্যা মামলার আসামিদের তালাবদ্ধ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুড়ে ছাই তিন বসতঘর ◈ আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুক-ইউটিউবে কথা বললেই গ্রেপ্তার! ◈ কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন? ◈ জনঅভিযোগে সাড়া দিচ্ছে সরকার: দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ৯০৯টি ই-মেইল, শুরু হয়েছে পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ ◈ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভুলে সব শেষ, খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ কর্মীরা ◈ “নারীকে অপমান ইসলামবিরোধী কাজ”—নারী কমিশন নিয়ে সমালোচনার জবাবে ফরহাদ মজহার ◈ ভারতের ছত্তিশগড়ে ট্রাকের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে: মাতলুব আহমাদ

সংবাদ সম্মেলন

মনজুর এ আজিজ: নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং কৃষক বিপুলভাবে লাভবান হবেন। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

শনিবার দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (ওঈঈই) ইন্দো বাংলাদেশ এগ্রি মেকানাইজেশন সামিট উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনীশ মোহন (সিনিয়র ডিরেক্টর সিআইআই), অশোক অনন্তরামন (সিওও, এসিই) এবং সুদর্শন আর (ভাইস প্রেসিডেন্ট, টাফে)। সামিট চলাকালীন অনেকগুলো গঙট সাক্ষরিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। এদেশে কৃষির  গোড়পতন জাতির জনকের হাত ধরে শুরু। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে সংগতি রেখে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

বর্তমান সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য এগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে জমি চাষে ৯৫% ভাগ ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার হলেও চারা রোপনের ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার ৩% এর কম। অন্যদিকে ফসল কাটার জন্য ১০% হারভেষ্টার ব্যবহার হলেও ধান মাড়াই এর ক্ষেত্রে  ৯৫% থ্রেসার ব্যবহার করে থাকে। তৈলজাতীয় বীজ যেমন সরিষা, সূর্যমুখীর বিপুল পরিমাণে দেশে চাষ হলেও  যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাবে প্রয়োজনীয় তেল আহরন সম্ভব হচ্ছে না।

এক্ষেত্রে যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। এখানে জয়েন্ট ভেঞ্চার এর মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মেটানো হবে এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। কৃষি উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং কৃষক বিপুলভাবে লাভবান হবেন, উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে সিআইআই এবং টিএমএ এর সহযোগীতা সরকারের এই কাযক্রমকে আরও বেগবান করবে। বাংলাদেশ আশা করে যে, ভারতীয় ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশের এই উদ্যেগকে এগিয়ে নিতে স্বল্প মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশ সরবারাহ করবে।

এমএএ/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়