শিরোনাম
◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের সমাধান কোন পথে?

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:০৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শখের ফল বাগান করে সফল শিক্ষক ও কৃষক

সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): মির্জাগঞ্জে শখের ফলের বাগানে সফলতা অর্জন করেছে এক কলেজ ডঃ আবদুর রহমান শিক্ষক এবং কৃষক হাবিবুর রহমান। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় যুবকরা ফল চাষে উদ্বুদ্ধ  হচ্ছে।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আমড়াগাছিয়া গ্রামে পতিত জমিতে ড্রাগনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন সুবিদখালী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ আবদুর রহমান।

দূর থেকে অনেকেই তার বাগান দেখতে আসছেন। তার বাগানে শোভা পাচ্ছে ড্রাগন ফল,পাশাপাশি ৭০ শতক জমিতে চাষ করেছেন মাল্টা লেবু ও আম্রপালি জাতের আম। 

তিনি জানান, তিন বছর আগে উচ্চমূল্যের ড্রাগন চাষের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। ড্রাগন চাষ তার কাছে একেবারেই নতুন ছিল। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে শুরু করেন বাড়ির পাশের ফলের বাগানটি। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টা, লেবু ও আমের চাষও করেন। অল্প দিনেই বেড়ে ওঠে বাগানটি। বাগানে বর্তমানে ১৬০টি ড্রাগন গাছ, ৫০টি মাল্টার গাছ, লেবুর ৭০টি গাছ এবং আম্রপালির ৩৫টি গাছ রয়েছে। ড্রাগন চাষে খরচ একটু বেশি হলেও লাভও বেশি।

অন্যদিকে, উপজেলার দোকলাখালী গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহামান ড্রাগন চাষে লাভের মুখ দেখেছেন। 

হাবিবুর রহমানের বাগানে দেখা যায়, প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ৬ থেকে ৮টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল। একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান জানান, ড্রাগন ফল চাষ লাভজনক। অল্প পুঁজিতেও এটি চাষ করা যায়। আমি দুই বছর পূর্বে শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে ৪০০ চারা রোপণ করি। ইনশাআল্লাহ এবারে কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। চিন্তা করছি ড্রাগন ফলের চাষ আরও বাড়াবো।  

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় আগ্রহী কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়