মনজুর এ আজিজ: রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নমুনা হিসেবে নিয়ে আসা ৫০ লিটার অপরিশোধিত তেল পরীক্ষার পর জানা গেল এ তেল বাংলাদেশে পরিশোধন করা কঠিন ও অলাভজনক। মঙ্গলবার নমুনা তেল পরীক্ষার প্রতিবেদন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে (বিপিসি) জমা দিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইস্টার্ন রিফাইনারির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এটা পরিশোধন করা সম্ভব না। আমরা রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছি। এখন ওনারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা কোনোভাবেই পসিবল না। রাশিয়ান ক্রুডের স্ট্রাকচার অনুযায়ী পরিশোধনের ওই রকম যন্ত্রপাতি আমাদের নেই। মডিফাই করাও সম্ভব না।
জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে নিয়ে আাসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যানিং) রায়হান আহম্মদকে ওই কমিটির প্রধান করা হয়।
ওই কমিটির এক সদস্য জানান, রাশিয়ান এই ক্রুডে ডিজেল ও কেরোসিন মিলিয়ে আছে ৩৪ শতাংশ। আমরা বর্তমানে অন্যান্য যে ক্রুড ব্যবহার করি, সেসবে ডিজেলের পরিমাণ ৩৯ ও ৪২ শতাংশ। আর ক্রুডের তিনটি স্থর থাকে, আমরা সাধারণত ওপরের দুটি স্থর বেশি ব্যবহার করি, অর্থাৎ ওই দুটি স্তর দিয়ে কাজ হয়ে যায়। কিন্তু রাশিয়ান ক্রুড বেশি ভারী, অর্ধেক বা তার বেশি নিচের স্তরে পড়ে থাকে। কিন্তু নিচের স্তর ব্যবহার করা কঠিন ও লম্বা প্রসেস। অর্থাৎ আমাদের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এটা পরিশোধন করা সম্ভব না। আমরা রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী ৬০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। এর ২৫ শতাংশই অপরিশোধিত, যা চট্টগ্রাম ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :