শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৯:১০ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৬ শতাংশ: এডিবি

এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

মনজুর এ আজিজ: চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পাশাপাশি গড় মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক এই উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটির ধারণা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতিও বাড়বে।

বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যাঙ হং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বক্তব্য দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।

বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের ভোগ-চাহিদা কমে যাওয়ায় চলতি বছর গত বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে জানিয়েছে এডিবি। অবশ্য সরকার চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে। আর গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে আটকে রাখতে চেয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় বাংলাদেশে। গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে উচ্চমূল্যস্ফীতি নতুন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে এডিবি।

সংবাদ সম্মেলনে এডিমন গিন্টিং বলেন, দুই বছরের কোভিড-১৯-এর ধাক্কার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলে আমি সেটাকেই খুবই সন্তোষজনক বলে মনে করি। বাংলাদেশ অতীতেও নানা ধরনের সংকট সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলা করেছে অত্যন্ত ভালোভাবে। যুদ্ধের মধ্যেও অর্থনীতিকে সঠিক পথে রেখেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিটেন্স বাড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগ ছিল যে আমদানি, সেটা কমতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে তুলনামূলক ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এবং এই অসম পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে। এ সময় মধ্যম পর্যায়ে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য, সংস্কারের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারের উপযোগিতা বাড়ানো, অর্থবাজারের উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতে ফলপ্রসূ চাকরি তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের প্রচারণা।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের অনিশ্চয়তা সংস্কার কর্মসূচিকে গতিশীল করার ভালো নিয়ামক হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জন ও স্থানীয় টেকসই জ্বালানির সরবরাহ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমতে পারে।

গিন্টিং বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় এবং জ্বালানি সংকটের কারণে এ বছর কাক্সিক্ষত হারে বিনিয়োগ হবে না। ধীরগতি দেখা দেবে সরকারি বিনিয়োগেও। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে সরকারকে জোর দিতে হবে। রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্যই অর্থনীতিকে টেকসই করে। যেহেতু প্রবৃদ্ধি দেশের ভেতর থেকেই হতে হবে, তাই বেসরকারি খাতের বিকাশ প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও জ্বালানি ঘাটতির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধি কম হবে। সে কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের ৭ দশমিক ২৫ শতাংশের কম, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়