মাসুদ আলম: হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। শুধু নিত্যপণ্যের বাজারে নয় প্রভাব পড়েছে সর্বক্ষেত্রে। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে রাতারাতি সব রকমের নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চাওয়া হচ্ছে। এতে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ বেকায়দায় পড়েছেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ক্রেতারা।
শনিবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ৩ টাকা। মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার ওপরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনের ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের খরচও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়বে। ফলে সামনে সবজির দাম আর কমার সুযোগ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যেরই দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
খুচরা চাল বিক্রেতাররা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর চাহিদা অনুযায়ী চাল বিক্রি করছে না আড়তদাররা। এতে করে চালের দামও কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বাড়বে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
কৃষকরা বলছেন, আগে শ্যালোমেশিনে এক ঘণ্টা সেচ দিতে ১০০ টাকা লাগলেও এখন এর পেছনে ব্যয় হবে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে ইউরিয়া সার বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা। নিশ্চিতভাবে এই দাম বাড়ার বড় একটা প্রভাব পড়বে উৎপাদন ব্যয়ে।
ভাটারা পশ্চিম নুরেরচালার বাসিন্দা মো. মেহেবুব হাসান বলেন, ব্যবসায়ীরা সব সময় দাম বাড়ানোর অজুহাত খোঁজে। পাইকারী বাজারে এক টাকা বাড়লে খুচরা বাজারে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে যায়। এ জন্য নিত্যপণ্যের বাজারে সরকারের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে, যাতে দর নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়। যাতে কেউ মূল্যবৃদ্ধি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে।
আপনার মতামত লিখুন :