এ বিষয়ে মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে। ফলে এলসি খোলায় কোনো সংকট তৈরি হবে না। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাজার স্বাভাবিক রাখাও অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
তবে রমজানের ভোগ্যপণ্য অর্থাৎ চাল, গম, পেয়াজ, ভোজ্যতেল,ডাল, চিনি, ছোলা, মটর মসলা ও খেজুর আমদানিতে ঋণপত্র ইস্যুতে ন্যূনতম মার্জিন ব্যাংকগুলো ঠিক করবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।
ত্রিমুখী চাপে অর্থনীতি
নির্বাচনের তোড়জোড় যত বাড়ছে, ততই স্নায়ুচাপ বাড়ছে আর্থিক খাতে। রমজানের আগে নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসির চাপ ও নির্বাচনের পর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পথ সহজ রাখতে বাজারে নিরবচ্ছিন্ন ডলার সরবরাহসহ নীতি সহায়তায় বড় ধরনের প্রস্তুতি জরুরি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুধুমাত্র ডলার সরবরাহ বা সুদের হার কামিয়ে নয়, কর পরিকল্পনা ও আমদানি রফতানি সহজ করতে নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্য আমদানি বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, ছোলা, খেজুর ও ভোজ্য তেলসহ খাদ্যপণ্য আমদানিতে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারদর আর পরিবহনের খরচের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছরই আর্থিক আকার হয় প্রায় দ্বিগুণ।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। তবে গত বছরের ৫ আগস্টের পর পরিবর্তীত পরিস্থিতির সময়টি বাদ দিয়ে স্বাভাবিক সময় ধরলে, ২০২৩ সালের এই সময়ের তুলনায় কম।
অন্যদিকে, দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন নতুন সরকারের অপেক্ষায়। ফলে আসছে ছয় মাসে আর্থিক খাত ত্রিমুখী চাপে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নির্বাচিত সরকার এলে ব্যবসা বাণিজ্যে একটা চাঙ্গা ভাব থাকবে। যখন বেসরকারি খাত বিনিয়োগ শুরু করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আমদানি রফতানি বাড়বে, এতে একটা চাপ সৃষ্টি হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ছয়মাসের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে কতটা ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।