সম্প্রতি মার্কিন-চীন বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতির ফলে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে। বিশ্ববাজারে সোনা একটি স্থায়ী বিনিয়োগ। তাই ডলারের দাম উঠা নামার সাথে সোনার দাম অনেকটাই নির্ভর করে। বর্তমানে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪ হাজার ডলারেরও কম দামে বিক্রি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্বর্ণের বারের দাম ৩ হাজার ৯৭৩ ডলারের কাছাকাছি ছিল, আগে ৩.২ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার পর।
ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের আলোচকরা বলেছেন, তারা শুল্ক এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছেছেন।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জাপানের অর্থমন্ত্রী সাতসুকি কাটায়ামার সঙ্গে বিনিময় হার নিয়ে আলোচনা করার পর সোনার দামে নমনীয়তা এসেছে। তবে মার্কিন ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। গত সোমবার প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ৩৮০ ডলারের ওপরে থাকা সোনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই বছরও স্বর্ণের দাম ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং এমন বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা বাজেট ঘাটতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সার্বভৌম ঋণ ও মুদ্রা এড়িয়ে চলেন। এটি খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্যও আকর্ষণীয়।
পেপারস্টোন গ্রুপ লিমিটেডের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন এক নোটে বলেন, ‘যদিও সোনার দাম ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে এবং পতনের দিনগুলো ফিউচার ভলিউম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, তবুও দাম তলানিতে বলা কঠিন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বাজার কৌশলবিদ জন রিড বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদা আগের মতো শক্তিশালী নয় এবং পেশাদার ডিলাররা দাম আরো কমলে ক্রয়ের সুযোগ নিতে পারেন।’ তবুও, এই পতন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য স্বর্ণ ক্রয় বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে। জাপানে এলবিএমএ সমাবেশের একজন কর্মকর্তার মতে, দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেষবার এক দশকেরও বেশি সময় আগে সোনা কিনেছিল, তারা মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত ক্রয়ের কথা বিবেচনা করছে।
সোমবার সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের বিশ্লেষক ম্যাক্স লেটনসহ বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনের সঙ্গে চুক্তি করার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব, সোনার দামের গতিতে পরিবর্তন এবং মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাব্য অবসানের পাশাপাশি আগামী সাপ্তাহগুলোতে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী হবে। তারা আগামী তিন মাসে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৮০০ ডলারে নেমে আসার আশঙ্কা করছে।
সোনার দাম কমে যাওয়ার পর, রূপার দাম আবারও কমেছে। প্ল্যাটিনামের দাম কমেছে, অন্যদিকে প্যালাডিয়ামের দাম বেড়েছে।