শিরোনাম
◈ এবার গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করার দাবি জাতীয় পার্টির মহাসচিবের ◈ কক্সবাজা‌রের নাফ নদীতে আরাকান আর্মির তৎপরতা, জেলে নিখোঁজ, কী হচ্ছে সেখানে? ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন: এক বছরে মন্দা থেকে শীর্ষে বাংলাদেশ ◈ শনিবার সাধারণ ছুটি : কারা পাবেন, কারা পাবেন না ◈ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুজন গুলিবিদ্ধ ◈ শবনম ফারিয়ার পোস্ট, কমেন্টে যা বললেন সারজিস আলম ◈ জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি ৪০ দলের নেতাদের ◈ ফরিদপুরে ফের মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিলো বিক্ষুব্ধ জনতা, সংঘর্ষ  ◈ হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ৮

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৫, ১২:১৫ দুপুর
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাশিয়ার মাধ্যমে চুরি করা শস্য আমদানির অভিযোগে বাংলাদেশি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইউক্রেনের!

ইউক্রেনের বিশাল অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। দখল করে নেয়া ওইসব অঞ্চল থেকে সংগৃহীত শস্য বাংলাদেশ আমদানি করছে। রাশিয়া ওই শস্য চুরি করে তাদের কাছ থেকে নিয়ে রপ্তানি করছে। এমন দাবিতে বাংলাদেশি কিছু কোম্পানি ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে অনুরোধ জানাতে পারে ইউক্রেন সরকার। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ। 

এতে বলা হয়, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চল থেকে রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে রাশিয়ার নিজস্ব শস্যের সঙ্গে দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত শস্য মিশিয়ে থাকে। ইউক্রেন এই ধরনের কৃষিপণ্যকে চুরি করা হিসেবে গণ্য করে এবং বিদেশি ক্রেতাদের এই চর্চা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে নিয়মিতভাবে চাপ প্রয়োগ করে থাকে। আগে সিরিয়ার সাবেক সরকার এ ধরনের শস্যের বড় ক্রেতা ছিল। কিন্তু বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর অন্য দেশও এসব পণ্য কিনছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন বলে ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের সূত্রে জানা গেছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইউক্রেনের দিল্লিস্থ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বেশ কয়েকটি চিঠি হাতে পেয়েছে। এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, ককভাজ বন্দর থেকে প্রায় দেড় লাখ টন চুরি করা শস্য বৈধ রাশিয়ান শস্যের সঙ্গে মিশিয়ে বাংলাদেশি বন্দরে পাঠানো হয়েছে, যা সাধারণভাবে ক্রেতাদের পক্ষে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। 

ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্দর পোলিশচুক রয়টার্সকে জানান, ঢাকা কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। এমনকি নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর নির্দিষ্ট তালিকা দেওয়ার পরও না। বর্তমানে এই জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র মূলত তেলবাহী ট্যাঙ্কারগুলোর ওপরই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ এগুলোর মাধ্যমেই রাশিয়া সর্বাধিক অর্থ উপার্জন করে। ইউক্রেন ইতিমধ্যে দুটি জাহাজ আটক করেছে, যেগুলো দখলকৃত এলাকা থেকে চুরি করা শস্য পরিবহন করছিল। এর মধ্যে একটি জাহাজ নিলামে তোলার পরিকল্পনাও করেছে ইউক্রেন সরকার। অনুবাদ: মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়