বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পশুর চামড়ার দাম বেশি বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রোববার পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় ঘুরে ব্রিফিংয়ে এমন দাবি করেন তিনি। এসময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গেল বছরগুলোর তুলনায় এবার চামড়ার দাম বেশি। লবণবিহীন চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পেলে এতে সরকারের দায় নেই, এর মূল্য ঠিক করবে বাজার ব্যবস্থাপনা।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা যে কাজটা শুরু করি, তা হলো স্থানীয়ভাবে মজুত এবং লবণ দেওয়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণ ও মজুত উপযোগী করা। যার ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা স্থিতি এবং বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরি হয়।’ তিনি আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চামড়া ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা চামড়া ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লবণ দেওয়া চামড়ার উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সেটা বিক্রি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূল ধারার কিছু গণমাধ্যম ভুল তথ্য প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন, আধা পচা চামড়া কম দামে বিক্রি হওয়া নিয়ে অপপ্রচার চলছে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে এ বছর চামড়া সংরক্ষণ ও মজুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা যে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিলাম, সেটি ছিল লবণসহ দাম। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যেটা বিক্রি হচ্ছে সেটি লবণ ছাড়া। বিগত বহু বছর ধরে যে দামে বিক্রি হতো, এই দাম তার থেকে বেশি।’
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম পাচ্ছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অসত্য। অসত্য এ জন্য যে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী যাঁদের চামড়া সংরক্ষণের ব্যাপারে কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁরা চামড়া নিয়ে আধা পচা করে ফেলছে । আধা পচা চামড়া ৭০০-৮০০ টাকা বিক্রি হলে তো এটা অনেক বেশি। আর যেটি ভালো চামড়া সেটি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সময় তার সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।