গোবিন্দ শীল: [২] বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের মওজুদ দ্রুত কমে যাবার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী মহল মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
[৩] কেউ কেউ বলেছেন, ইতোমধ্যে তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়েছেন, তবে অন্যেরা বলছেন এখনই উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।
[৪] গত সপ্তাহে অফিসিয়ালি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশী মুদ্রার মওজুদ ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি হলেও বিদেশী দায় পরিশোধের পর তা ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে। (ডেইলি স্টার)
[৫] মাসে ৫ বিলিয়ন আমদানি বিল হিসেব করলে এই রিজার্ভ দিয়ে আড়াই মাসের আমদানি অর্থায়ন করা সম্ভব হবে।
[৬.১] নিট পোষাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আমাদের নতুন সময়কে বলেন, আমার ৩৭ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে আমি এমন পরিস্থিতি দেখিনি।
[৬.২] তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে গড়িমসি করছে আর কাস্টম্স নানা ঝামেলা পাকাচ্ছে।
[৬.৩] ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউ বাজারে রপ্তানি তুলনামূলক কমে গেছে বলে তিনি জানান।
[৭.১] তবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, জিনিষপত্রের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশে ‘বেসামাল’ পরিস্থিতি হবে না।
[৭.২] তিনি ভারত ও চীনের সাথে স্থানীয় মুদ্রায় (কারেন্সি সোয়াপ) বাণিজ্য করবার সরকারি উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
[৭.৩] তিনি আমাদের নতুন সময়কে বলেন, স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করলে সংকট অনেকটাই কমে যাবে, কারণ এই ২ দেশ থেকেই সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২