মাসুদ আলম: [২] রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলা এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে পথচারিদের টাকা- মোবাইল ও গহনা ছিনিয়ে নিচ্ছে। বাধা দিতে গেলেই প্রাণহানিও ঘটছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বসিলা গার্ডেন সিটি হাউজিং এলাকায় গণহারে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
[৩] দলবদ্ধ ছিনতাইকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রকাশ্যে একের পর এক ছিনতাই করেছে। সামনে যাদের পেয়েছে তাদের মারধর ও কুপিয়ে সঙ্গে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। শুধু পথচারীই নয়, আশপাশের দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশের টাকা, মালপত্র ছিনতাই করেছে। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো এলাকায়। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।
[৪] শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসিলা ৪০ ফিট এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে গার্ডেন সিটি হয়ে ওয়াকওয়ের চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনের ছিনতাইকারী দল। এরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। ছিনতাইকারীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
[৫] ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ছিনতাইসহ রাস্তার পাশের ১৫ থেকে ২০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এখানে পুলিশি টহল লক্ষ্য করা যায় না। শুক্রবারের ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেও তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগীরা পুলিশের সহায়তা পাননি। ৯৯৯-এ ফোন করার প্রায় চার ঘণ্টা পর পুলিশের একটি টহল গাড়ি ঘটনাস্থলে আসেন।
[৬] নির্মাণশ্রমিক জাহিদুল ইসলামসহ আরও দুজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইকারীরা জাহিদের মাথায় কোপ দিয়েছে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই লেগেছে। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া নীরব নামে এক ব্যক্তির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে তাকে মারধর করে। মাথায় আঘাত করে, পায়েও কোপ দেয়।
[৭] মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএ/টিএবি/এনএইচ