নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল আহসান সাধন হত্যার ঘটনায় দুই শুটারকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজে যে দুজনকে গুলি করতে দেখা গেছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তার, পূর্ব শক্রতা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গুলশান,বনানী ও বাড্ডা এলাকার চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে র্শীষ সন্ত্রাসী মেহেদীর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী সন্ত্রাসী মাহবুবের র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। মাহবুবের মামা বিএনপি নেতা সাধন। সাধন মাহবুরের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করতেন। মাহবুরের চাঁদার টাকা তুলতেন সাধন। ধারণা করা হচ্ছে মাহবুব ও মেহেদীর দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে সাধন। এলাকায় ডিশের ব্যবসা করতেন সাধন।
সাধনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তারের দাবী, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তিনি। সাধানের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে।
এর আগে রোববার রাতে বাড্ডা গুদারাঘাট এলাকায় সাধনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সোমবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়।
বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, গুদারাঘাট চার নম্বর রোডে দুজন ব্যক্তি বিএনপি নেতা সাধনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হেঁটে চলে যাচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।