মোস্তাফিজুর রহমান: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞান ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে ৪ জন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনা গুলো ঘটে। পথচারী ও স্বজনরা তাদের কে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় ভিকটিমরা হচ্ছেন, পল্টন এলাকা থেকে কাপড় ব্যবসায়ী আবু সাঈদ (৩৫), প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন (৩৮), সাইনবোর্ড বাস কাউন্টার থেকে রং ব্যাবসায়ী নাসিরুল হক নাসির (৪৮) ও আদালত এলাকা থেকে ট্রাকচালক জাহিদুল ইসলাম (৩৮)।
এ খবর জানান ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তিদের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
পল্টন সচিবালয় সংলগ্ন পল্টন সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে বিকাল পাঁচ টার দিকে সংবাদ পেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় আবু সাঈদ (৩৫) কে তার ভাই মোঃ কালাম উদ্ধার করে সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সাঈদের ভাই জানান, তার ভাই নরসিংদী রায়পুরার একজন একজন কাপড় ব্যবসায়ী। কাপড় কেনার জন্য ভুলতা'র গাউছিয়ায় যান। সেখানে কাজ শেষে ঢাকায় আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরেন। তার কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি ।
অপরদিকে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পল্টন শাখা থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা টাকা তুলেন প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন (৩৮)। সেখান থেকে বের হয়ে কিছুদুর গিয়ে মলম পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পড়েন। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফারুক হোসেন কে সংবাদ দেন। পরে তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মলমপার্টির সদস্যরা তার চোখে মুখে মলম লাগিয়ে দিয়ে টাকা গুলো হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন।
একই দিন বিকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড বন্ধন কাউন্টারের সামনে থেকে নাসিরুল হক নাসির (৪৮) নামে এক রং ব্যবসায়ী অচেতন হয়ে পরেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কাছে ২৫ হাজার টাকা ছিল, তা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন।
নাসিরের স্ত্রী সাজিয়া জাহান জানান, আমার স্বামী পেশায় রং ব্যবসায়ী। আজ সকালের দিকে নরসিংদীতে তাগাদায় যান, সেখান থেকে ফিরার পথে বন্ধন পরিবহনযোগে নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার পথে গাড়ির মধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে কিছু খাইয়ে তার কাছে থাকা টাকাগুলো নিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, অচেতন ট্রাকচালক জাহিদুলের চাচাতো ভাই মো. আরিফুজ্জামান জানান, ঝিনাইদাহের কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে আদালতে সাক্ষী দিতে আসেন ভাই। পরে সেখানকার কাজ শেষে আদালত এলাকায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন জাহিদুল।
তিনি আরো জানান, তার (জাহিদুলের) আইনজীবী ফোন করে গ্রামের বাড়িতে সংবাদ দেন। সেই সংবাদের ভিত্তিতে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার কাছ কিছু পাওয়া যায়নি।
এমআর/এনএইচ