জহিরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর: জেলার চন্দ্রগঞ্জে বিউটি পার্লার করতে না দেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শারমিন আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ।
শনিবার রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের হাজী তোফায়েল কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বারান্দায় ফাঁস দেন শারমিন।
রোববার দুপুরে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী বাপ্পী চৌধুরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আটক বাপ্পী চৌধুরি চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলেয়াপুর ইউনিয়নের ভববতী গ্রামে। মৃত শারমিন একই উপজেলার জয় নারায়ণপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।
জানা গেছে, শারমিন বাপ্পী চৌধুরির দ্বিতীয় স্ত্রী। ৫-৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক বছরের একটি কন্যাশিশু রয়েছে। তারা চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, শারমিন তার স্বামী বাপ্পীর কাছে বিউটি পার্লার দেওয়ার জন্য বায়না ধরেন। এতে তিনি রাজি হননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার রাতে বাপ্পী তার স্ত্রী শারমিনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পরে শারমিন অভিমানে বাসার বারান্দায় দরজা বন্ধ করে ফাঁস দেন। ঘটনাটি বাজারে থাকা উপস্থিত লোকজন বাইরে থেকে প্রত্যক্ষ করেন। তারা তাকে অনেক নিষেধ করলেও তিনি কারো কথা শোনেন নি। তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :